ভ্রমণসঙ্গী চিকিৎসক বাবার অনুরোধে সংক্রমণের লক্ষণহীন কান চিকিৎসা নেওয়ার সিদ্ধান্ত নেন, কিন্তু তার আগে অনলাইনে ঢুকে তাকে নতুন স্বাস্থ্য বিমা পলিসিতে যুক্ত হতে হয়। নর্দার্ন অ্যারিজোনাতে বাবা রিচ কানের সঙ্গে ছুটি কাটাচ্ছিলেন ৩৩ বছর বয়সী এরিকা কান। সে সময় হঠাৎ উড়ে এসে একটি বাদুড় বসে পড়ে তার মুখে। এর একাংশ ঢুকে পড়ে এ নারীর মুখের ভেতর।
ওই ঘটনায় চিকিৎসার পেছনে প্রায় ২১ হাজার ডলার খরচ করতে হয়েছে বলে এনবিসি নিউজকে জানান এরিকা। তিনি শুক্রবার জানান, বায়োমেডিক্যাল প্রকৌশলী হিসেবে চাকরির হারানোর কিছুদিন পর গত বছরের আগস্টে গ্লেন ক্যানিয়ন ন্যাশনাল রিক্রিয়েশন এরিয়ায় বেড়াতে যান তিনি।
বাদুড়ের সংস্পর্শে কানের আসা নিয়ে প্রথম সংবাদ প্রকাশ করে কেএফএফ নিউজ। সংবাদমাধ্যমটি জানায়, রাতের আকাশের ছবি তুলছিলেন কান। ওই সময় তার ক্যামেরা ও মুখের মাঝের জায়গায় এসে পড়ে বাদুড়টি। পরে বাদুড়টির একাংশ ঢুকে পড়ে কানের মুখে।
কান জানান, বাইরে অন্ধকার ছিল। তারা একটি পর্বতের খাড়া প্রান্তে ছিলেন। তিনি ক্যামেরা ও নিচের দিকে তাকাচ্ছিলেন। সে সময় বাদুড়ের দিকে খেয়াল করতে পারেননি তিনি। তিনি আরও জানান, বাদুড়টি তার মুখ ও ক্যামেরার মাঝামাঝি জায়গায় কয়েক সেকেন্ডের জন্য ঝুলে ছিল, কিন্তু বাদুড়ের উপস্থিতি দীর্ঘক্ষণ ধরে অনুভব করেন তিনি।
বাদুড় থেকে সংক্রমণের চিকিৎসায় ব্যাপক কার্যকর ওষুধ বাজারে আছে, তবে উপসর্গ দেখা দেওয়ার আগে চিকিৎসা না করালে সংক্রমণ প্রাণঘাতী হতে পারে।
ভ্রমণসঙ্গী চিকিৎসক বাবার অনুরোধে সংক্রমণের লক্ষণহীন কান চিকিৎসা নেওয়ার সিদ্ধান্ত নেন, কিন্তু তার আগে অনলাইনে ঢুকে তাকে নতুন স্বাস্থ্য বিমা পলিসিতে যুক্ত হতে হয়।
ম্যাসাচুসেটসের চাকরি হারানো এ নারী ভেবেছিলেন অত্যাবশ্যকীয় হলেই তিনি তড়িঘড়ি করে বেসরকারি স্বাস্থ্য বিমার পলিসি কিনতে পারবেন। আকস্মিক দুর্ঘটনার শিকার হওয়ার পর অনলাইন থেকে পলিসি কিনে অ্যারিজোনা, কলোরাডো ও ম্যাসাচুসেটসে সংক্রমণের টিকা ও চিকিৎসা নেন তিনি।
কান ভেবেছিলেন তাকে আর চিকিৎসার বিল দিতে হচ্ছে না, কিন্তু ঘটনাটি ঘটে উল্টো। স্বাস্থ্য খরচ বাবদ তার কাছ থেকে ২০ হাজার ৭৪৯ ডলার চাওয়া হয়। কারণ বিমা পরিকল্পনার আওতায় চিকিৎসা পেতে হলে তাকে ৩০ দিন অপেক্ষা করতে হতো।
এ ঘটনায় মানসিক পীড়নে থাকা এ নারী জানান, বিমা কোম্পানির বিপরীতে নিজেকে বেশ ক্ষমতাহীন মনে হয়েছে তাকে। বিমায় জীবন রক্ষাকারী চিকিৎসার কাভারেজ পাওয়া মানবাধিকার হওয়া উচিত। ইউরোপের অনেক দেশে হাসপাতালে গেলেই সংক্রমণের টিকা পাওয়া যায়। বিপরীতে দিতে হয় না কোনো অর্থ।