নিউইয়র্ক সিটির আসন্ন মেয়র নির্বাচনে ডেমোক্র্যাটিক পার্টির প্রার্থী ও কুইন্সের অ্যাসেম্বলি সদস্য জোহরান মমদানি প্রতিদ্বন্দ্বীদের অনেকটা পেছনে ফেলে এককভাবে এগিয়ে রয়েছেন। সম্প্রতি জেনিথ রিসার্চ এবং পাবলিক প্রোগ্রেস সল্যুশনস পরিচালিত এক জরিপে দেখা গেছে, মমদানি একাই পেয়েছেন শতকরা ৫০ ভাগ ভোটারদের সমর্থন—যা অন্য সব প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীর সম্মিলিত সমর্থনের চেয়েও বেশি।
এই জরিপে সাবেক গভর্নর অ্যান্ড্রু কুয়োমো দ্বিতীয় অবস্থানে থেকে পেয়েছেন ২২% ভোট, কার্টিস স্লিওয়া ১৩%, বর্তমান মেয়র এরিক অ্যাডামস ৭% এবং সাবেক ফেডারেল প্রসিকিউটর জিম ওয়ালডেন পেয়েছেন মাত্র ১% ভোটার সমর্থন। বাকিরা ছিলেন অনিশ্চিত বা অন্য কাউকে ভোট দেওয়ার পক্ষে।
১৬ থেকে ২৪ জুলাইয়ের মধ্যে করা এই জরিপে নিউইয়র্ক সিটির পাঁচটি বরোর ১,৪৫৩ জন বাসিন্দাকে অন্তর্ভুক্ত করা হয়। নিবন্ধিত ভোটারদের ক্ষেত্রে জরিপের সম্ভাব্য ত্রুটি ২.৯% এবং সম্ভাব্য ভোটারদের ক্ষেত্রে ৩.৯%।
জরিপের ফলাফলে দেখা যায়, শুধুমাত্র মমদানির ক্ষেত্রেই ভোটারদের ৫৮ শতাংশ বলেছেন তাঁকে ভোট দেওয়ার কথা বিবেচনা করবেন। অন্যদিকে কুয়োমোর ক্ষেত্রে এ হার ৩৭%, অ্যাডামসের ২৭%, স্লিওয়ার ২৬% এবং ওয়ালডেনের মাত্র ১০%।
মমদানির জনপ্রিয়তা আরও স্পষ্ট হয়ে ওঠে যখন দেখা যায়, কুয়োমোকে ৬০%, অ্যাডামসকে ৬৮%, স্লিওয়াকে ৫৯% এবং ওয়ালডেনকে ৪০% ভোটার সরাসরি প্রত্যাখ্যান করেছেন। সেখানে মমদানিকে ভোট না দেওয়ার কথা বলেছেন মাত্র ৩২%।
জনগণের দৃষ্টিতে নিউইয়র্ক সিটির বড় সমস্যা হিসেবে উঠে এসেছে—আবাসনের ব্যয়, নিত্যপণ্যের দাম এবং অপরাধ ও জননিরাপত্তা। এসব ইস্যুতে মমদানির শক্ত অবস্থানই সম্ভবত তাকে এগিয়ে রাখছে।
পাবলিক প্রোগ্রেস সল্যুশনসের প্রতিষ্ঠাতা অমিত সিংহ বাগ্গা বলেন, এই জরিপ আমাদের দেখিয়েছে—কালো ইউনিয়ন পরিবার, তরুণ ইহুদি, দক্ষিণ এশীয়, পূর্ব এশীয়, ল্যাটিনো এবং সব স্তরের নিউইয়র্কবাসী এখন জোহরান মমদানির সঙ্গে।
তার মতে, এই ফলাফল কেবল একটি জরিপ নয়, বরং ডেমোক্র্যাটিক পার্টির ভবিষ্যৎ পথচলার দিকনির্দেশনা।