দ্বিতীয় টি-টোয়েন্টিতে শেষ ওভারে ছিল নাটকীয়তা। শেষ বলে চার মেরে সিরিজে সমতা ফিরিয়েছিল ওয়েস্ট ইন্ডিজ। কিন্তু তৃতীয় ও শেষ টি-টোয়েন্টিতে তেমনটা হতে দেয়নি পাকিস্তান। তাদের ১৩ রানে হারিয়ে সিরিজ ২-১ ব্যবধানে নিশ্চিত করেছে সালমান আলী আগার দল।
ফ্লোরিডায় টস জিতে শুরুতে ব্যাট করেছিল পাকিস্তান। তার পর শাহেবজাদা ফারহান ও সাইম আইয়ুবের পাওয়ারহাউজ পারফরম্যান্সের ফল পেয়েছে তারা। ওপেনিং জুটিতেই তারা যোগ করেন ১৩৮! তার বিস্ফোরক ব্যাটিংয়ে শেষ পর্যন্ত পাকিস্তান ৪ উইকেটে সংগ্রহ করে ১৮৯ রান। ফারহানের ব্যাট থেকে আসে ৫৩ বলে ৭৪ রানের বিধ্বংসী একটি ইনিংস। তাতে ছিল ৫টি ছয় ও ৩টি চার। ফারহান প্রথমে ফিরলেও ১৯তম ওভার পর্যন্ত টিকে ছিলেন আইয়ুব। ৪৯ বলে ৬৬ রানের ইনিংস খেলেছেন তিনি। তাতে ছিল দুটি ছয় ও ৪টি চার। হাসান নওয়াজ নেমে ক্যামিও ইনিংস খেলেছেন। ৭ বলে দুটি ছক্কায় ১৫ রান করে ফিরেছেন তিনি। মোহাম্মদ হারিস অবশ্য প্রত্যাশা মেটাতে পারেননি। ফিরেছেন ২ রানে। তার পর বাকিটা সময় ঝড়ো ব্যাটিংয়ে ইনিংস সমৃদ্ধ করেছেন খুশদিল শাহ ও ফাহিম আশরাফ। খুশদিল ৬ বলে ১ ছক্কায় ১১* রান করেছেন। ফাহিমের ৩ বলে করা ১০ রানের ইনিংসে ছিল ১টি ছয়।
ওয়েস্ট ইন্ডিজের হয়ে একটি করে উইকেট নেন জেসন হোল্ডার, রোস্টন চেজ ও শামার জোসেফ।
১৯০ রানের লক্ষ্যে খেলতে নেমে ঝড়ো সূচনা করেছিল ওয়েস্ট ইন্ডিজ। প্রথম ১০ বলে হাসান আলী ও মোহাম্মদ নওয়াজের বলে তুলে ফেলে ৩০ রান। ক্যারিবিয়ানরা প্রথম উইকেট হারায় ৪৪ রানে। ৪.২ ওভারে ক্যচ দিয়ে ফেরেন জুয়েল অ্যান্ড্রু (২৪)।
নবম ওভারে নওয়াজের বলে আইয়ুবের হাতে ক্যাচ দিয়ে ফেরেন অধিনায়ক হোপ। তার সংগ্রহ ছিল ৭ রান—এসময় স্বাগতিকদের জয়ের জন্য প্রয়োজন ছিল আরও ১১৬ রান। অ্যালিক অ্যাথানাজ ১৩ ওভার পর্যন্ত টিকে ছিলেন, এরপর আইয়ুবের বলে খুশদিল শাহের হাতে ধরা পড়ে আউট হন ৬০ রানে। ওয়েস্ট ইন্ডিজের রান তখন ১১০, জয়ের জন্য বাকি ছিল ৪২ বলে ৮০ রান।
১৭তম ওভারের শেষ বলে রোস্টন চেজ রিটায়ার্ড আউট হন এবং তার পরিবর্তে নামেন আগের রাতের শেষ বলে জয় এনে দেওয়া হোল্ডার। কিন্তু তিনি এসে দুই বল পরেই সুফিয়ান মুকিমের বলে শূন্য রানে বোল্ড হলে চাপ বাড়ে ওয়েস্ট ইন্ডিজের। স্বাগতিকদের জয়ের জন্য ১৬ বলে তখন দরকার ৪১ রান।
রাদারফোর্ড সাত বল বাকি থাকতে একটি ছক্কা মেরে হাফসেঞ্চুরি পূরণ করেন ঠিকই। কিন্তু ৫১ রানে তিনি আউট হলে ওয়েস্ট ইন্ডিজ শেষ ওভারে আরেকটি নাটকীয় জয় তুলে নিতে ব্যর্থ হয়। ৬ বলে ২৫ রানের দরকার পড়লেও তারা তুলতে পারে ১১ রান। তাতে ওয়েস্ট ইন্ডিজের ইনিংস থামে ৬ উইকেটে ১৭৬ রানে। পাকিস্তানের হয়ে একটি করে উইকেট নেন হাসান আলী, মোহাম্মদ নওয়াজ, হারিস রউফ, সাইম আইয়ুব ও সুফিয়ান মুকিম।
ম্যাচসেরা ছিলেন ফারহান আর সিরিজসেরা ৭ উইকেট নেওয়া মোহাম্মদ নওয়াজ।