নিজের অজান্তেই শরীরের ক্ষতি করছে যেসব অভ্যাস

লাইফস্টাইল ডেস্ক
  ২৬ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ২৩:৪৭


আমাদের প্রতিদিনের ছোট্ট ছোট্ট কিছু অভ্যাস রয়েছে যেগুলো শরীরের ক্ষতি করতে পারে কিন্তু আমরা সেটা বুঝতেই পারি না। এই অভ্যাসগুলো দীর্ঘদিনে শরীরের গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গকে নীরবে ক্ষতিগ্রস্ত করে।
সম্প্রতি অর্থোপেডিক ডা. মানন ভোরা ইনস্টাগ্রামে এমন আটটি দৈনন্দিন অভ্যাসের কথা জানিয়েছেন, যেগুলো ফুসফুস থেকে মস্তিষ্ক প্রায় সব অঙ্গের ওপরেই মারাত্মক প্রভাব ফেলে।
আসুন জেনে নেওয়া যাক এসব অব্যাসগুলো সম্পর্কে-

ফুসফুস: মুখ দিয়ে শ্বাস নেয়ার অভ্যাস
ডা. ভোরার মতে, নিয়মিত মুখ দিয়ে শ্বাস নিলে শ্বাসনালি শুকিয়ে যায় এবং সংক্রমণের ঝুঁকি বাড়ে। ধীরে ধীরে অক্সিজেন গ্রহণের ক্ষমতাও কমে যেতে পারে।

হৃদ্‌যন্ত্র: দীর্ঘ সময় বসে থাকা
ঘণ্টার পর ঘণ্টা একই জায়গায় বসে থাকলে রক্ত সঞ্চালন ধীর হয় এবং হৃদযন্ত্রে বাড়তি চাপ পড়ে। তাই প্রতি ঘণ্টায় অন্তত কয়েক মিনিট হাঁটা বা শরীর নড়াচড়া করার পরামর্শ দিয়েছেন তিনি।

চোখ: চোখ ঘষা
চোখ চুলকোলে ঘষে ফেলা অনেকের অভ্যাস। কিন্তু এতে কর্নিয়া ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে এবং জীবাণুর সংক্রমণ ঘটতে পারে। দীর্ঘমেয়াদে দৃষ্টিশক্তিও দুর্বল হতে পারে।

পেট: খুব তাড়াহুড়া করে খাওয়া
দ্রুত খাওয়া বা একসঙ্গে বেশি খেলে হজমে সমস্যা হয়। ধীরে ধীরে চিবিয়ে ছোট পরিমাণে খাওয়ার অভ্যাস করলে পেটের কাজ সহজ হয়।

লিভার: মাঝ রাতে ভারী খাবার
অনেকেই মাঝ রাতে ভারী খাবার খায়। এই অভ্যাস খাবার লিভারের ওপর বাড়তি চাপ সৃষ্টি করে ও বিপাকক্রিয়া ধীর করে। শোয়ার অন্তত ২–৩ ঘণ্টা আগে রাতের খাবার শেষ করার পরামর্শ দেন ডা. মানন।

কিডনি: পর্যাপ্ত পানি না খাওয়া
কম পানি খেলে কিডনিতে চাপ পড়ে এবং পাথর হওয়ার ঝুঁকি বাড়ে। সারাদিনে নিয়মিত পানি খাওয়ার মাধ্যমে কিডনির কাজ সচল রাখা যায়।

মস্তিষ্ক: একসঙ্গে অনেক কাজ করার চেষ্টা
একসঙ্গে অনেক কাজ করা যতই কার্যকর মনে হোক, এতে মনোযোগ ও স্মৃতিশক্তি দুটোই ক্ষতিগ্রস্ত হয়। এক সময় একটিমাত্র কাজে মনোযোগ দেওয়া মস্তিষ্কের জন্য ভালো।

কান: দীর্ঘ সময় উচ্চ শব্দে গান শোনা
দীর্ঘসময় উচ্চস্বরে গান শোনার ফলে কানের স্থায়ী ক্ষতি হতে পারে। মাঝারি ভলিউমে গান শোনা ও মাঝে মাঝে বিরতি নেওয়া শ্রবণশক্তি রক্ষার জন্য জরুরি।