‘মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের কংগ্রেসে এ রকমের আরও বহু বিল পেন্ডিং আছে। তার মধ্যে এটা একটা বিল এবং সেটার মূল ব্যাপারটা হচ্ছে যে, এটা যে জন্য প্রথমেই বলে নেওয়া উচিত যে, এটার ফলে অটোম্যাটিক কোনো গ্রিন কার্ড হবে না বা সিটিজেনশিপ হবে না এবং এ বিল পাস হলে এটার আওতায় যারা আসবেন, তারা কোনো ফেডারেল বেনিফিট পাবেন না।’ ডিগনিটি বিল নামের একটি প্রস্তাবিত আইন নিয়ে আলোচনা চলছে অ্যামেরিকায়। এ বিল পাস হলে গ্রিন কার্ডের ওপর এর প্রভাব কী হবে, তা নিউ ইয়র্কভিত্তিক অ্যাটর্নি অ্যাট ল মীর এম মিজানুর রহমানের কাছে জানতে চেয়েছেন টিবিএন অ্যানালাইসিসের সঞ্চালক শান্তু বিশ্বাস।
টিবিএন: ডিগনিটি অ্যাক্ট বা ডিগনিটি বিল যেটা, নতুন একটা বিলের কথা আমরা জানলাম গণমাধ্যমে। বিভিন্ন জায়গায় এটা আলোচনা হচ্ছে। সেই বিলটা সম্পর্কে যদি শুরুতে একটু বলতেন…তার পরে আবার আমরা অন্য বিষয় নিয়ে আলোচনা করব আরকি।
মিজানুর রহমান: মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের কংগ্রেসে এ রকমের আরও বহু বিল পেন্ডিং আছে। তার মধ্যে এটা একটা বিল এবং সেটার মূল ব্যাপারটা হচ্ছে যে, এটা যে জন্য প্রথমেই বলে নেওয়া উচিত যে, এটার ফলে অটোম্যাটিক কোনো গ্রিন কার্ড হবে না বা সিটিজেনশিপ হবে না এবং এ বিল পাস হলে এটার আওতায় যারা আসবেন, তারা কোনো ফেডারেল বেনিফিট পাবেন না। এগুলা বলে তারপরে আমি এটার অন্যান্য ব্যাপারে যাই।
সেটা হচ্ছে আপনারা দেখবেন, যারা এখানে গ্রিন কার্ড করেছেন, তারা যে ফরমটা পূরণ করেছেন, আই-৪৮৫ অ্যাডজাস্টমেন্ট অব স্ট্যাটাস, ওইটা যদি একটু ভালোভাবে খেয়াল করেন, দেখবেন, এখানে একটা ব্যাপার আছে যে, এটা অ্যাডজাস্টমেন্ট অব স্ট্যাটাস ছাড়াও রেজিস্ট্রি প্রোগ্রামের একটা অ্যাপ্লিকেশন ফরম। সেটা হচ্ছে যে, একটা সময়ের আগে থেকে যদি আপনি এখানে থাকেন, রেগুলার, কন্টিনিউয়াস ফিজিক্যাল প্রেজেন্স আপনার থাকে, তাহলে আপনি যেভাবেই এ দেশে আসেন না কেন এবং ন্যাচারলি যদি ক্রিমিনাল রেকর্ড না থাকে, অ্যাটসেটরা, তাহলে আপনি এখানে গ্রিন কার্ড পেতে পারেন।
ওই রকম একটা প্রেক্ষাপটে যেটা করেছে, সেটা হচ্ছে ২০০০ সালের আগে থেকে যারা এখানে আছেন, তাদেরকে এখানে সামহাউ ওই শ্যাডো থেকে বের করে নিয়ে আসা। নিয়ে এসে উনাদেরকে ন্যাচারালি ওয়ার্ক পারমিট দেওয়া হবে। সো কলড লিগ্যাল করা হবে। তাইলে তারা ট্যাক্সটা দেবে। লিগ্যালি থাকবেন, কাজ করবেন ইত্যাদি, কিন্তু কীভাবে এটা ফাইনালি ওয়ার্ক করবে, সেটা ন্যাচারালি এখন এত ডিটেইল বোঝা যাবে না।
এই যে জিনিসগুলো, এটার ভালো খবরটা হচ্ছে যে, এটা বাই পার্টিজান (দ্বিদলীয়)। এ ধরনের বহু বিল পেন্ডিং আছে…ইট উইল নট লিড টু সিটিজেনশিপ লাইক অ্যা গ্রিন কার্ড, সিটিজেনশিপ। তারপরে ওই যে বেনিফিট যে সমস্ত ব্যাপারে আছে, এগুলা পাবে না।
যেটা খুব বড় ব্যাপার না। তারপরও একটু বলে রাখি। এটার মধ্যে একটা ব্যাপার আছে। সাত হাজার ডলার ফাইনের মতো দিতে হবে ওভার দ্য পিরিয়ড অব সেভেন ইয়ার্স। ওভাবে দিলে তারপরে গিয়ে আপনি ডিগনিটি, সাম স্ট্যাটাস পাবেন ইত্যাদি, যেটার আলাদা কোনো মিনিং নাই। হয়তো আপনি বাইরে যেতে পারবেন, আসবেন ইত্যাদি। এই হচ্ছে ব্যাপারটা।
তো যাই হোক, এটা খুবই ভালো উদ্যোগ যে, দুই পক্ষ থেকে, একজন ফ্লোরিডার, একজন টেক্সাসের, উনারা মিলে এটা শুরু করেছে এবং সঞ্চালক মহোদয় যেটা অলরেডি বললেন, এখানে দুই পার্টিরই আরও বেশ কয়েকজন মানুষ এটাতে জয়েন করেছেন। সুতরাং এটা একটা ভালো উদ্যোগ, ভালো খবর। কারণ বর্তমান প্রশাসনের যে বিভিন্ন কার্যক্রম আমরা দেখতে পাচ্ছি যে, আইন যেটা আছে, সেগুলাকে যেভাবে করে প্রয়োগ করা হচ্ছে, যেমন কয়েক দিন আগেই একজন ভদ্রলোক, উনি রিপোর্ট করতে গেলেন, তো উনার নামে উনার বড় মেয়ে, তার চার সন্তান। এখানে জন্ম হওয়া।
প্রথম তিনজন অলরেডি কলেজ গ্র্যাজুয়েট ভালো ভালো ইউনিভার্সিটি থেকে। আমি আর নামে গেলাম না। সে বড় মেয়ের জন্য পিটিশন করেছেন। ওইটা অ্যাপ্রুভড হয়েছে এবং তার ইভেন ইন্টারভিউটাও হয়েছে ফাইনাল গ্রিন কার্ডের। এর মধ্যে যেটা হচ্ছে, তার বোধ হয় পাঁচটা স্টেইটে অনেকগুলা সুপার মার্কেট আছে। সেখানে প্রায় ৩০০ লোক কাজ করে। উনি ট্যাক্স দেন, এমপ্লয়মেন্ট জেনারেশনের ব্যবস্থা করছেন। উনার শুধু ২০০৭ সালে, প্রায় ২০ বছর আগে উনার একটা ড্রাইভিং, মানে ডিডব্লিউআই ছিল, যেটা এমনভাবে জিনিসটা হয়েছিল যে, এটা ক্রাইম না আরকি ফরমালি। এটা একটা ট্রাফিক ভায়োলেশন। এভাবে করে শেষ হযেছিল। সেটার জন্য উনাকে সেদিন রেখে দিল। অথচ তার ফাইনাল গ্রিন কার্ড ইন্টারভিউ হয়ে গেছে।
ফলে আমি তথ্যটা দিয়ে বোঝাতে চাচ্ছি যে, এই ধরনের সিচুয়েশন থাকলেও ফরমালি ইজ নট ইভেন অ্যা ক্রাইম, যেটার জন্য উনি দোষী সাব্যস্ত হয়েছিলেন, তিনি ৩০০ ডলার ফাইন দিয়েছেন এবং দ্যাট ওয়াজ ইট এবং দ্যাট ওয়াজ ইন টু থাউজেন্ড সেভেন। এরপরে আর কোনো ক্রাইম করেন নাই। উনার এই যে, বললাম, পাঁচটা স্টেইটে তার ছয়-সাতটা সুপারমার্কেট আছে। সেখানে এতগুলা লোক কাজ করছে। তার বাবা-মা দুইজনই ৭২ বছরের ওপরে, অসুস্থ। চারজন ছেলেপেলে আছে। তারা কন্ট্রিবিউটিং।
তো এই রকমের অবস্থার একজন মানুষও, উনি রিগুলার রিপোর্ট করছেন এবং সবসময় কোঅপারেট করেছেন, পাসপোর্ট অ্যাপ্লিকেশন করার জন্য যে ফরম ফিলআউট করতে হয়, ওটাও করেছেন, রেগুলার অ্যাপয়েন্টমেন্টে যান, কিন্তু উনাকে রেখে দিয়েছে।
মজার ব্যাপার হচ্ছে যে, ধরেছে নিউ ইয়র্কে, টেক্সাসে নিয়ে উনাকে বন্দি করে রেখেছে। কারণ ওইটা আন্ডার ফিফথ সার্কিট কোর্ট অব আপিলস। ওইখানকার সবেচেয়ে ভয়ংকর এবং রক্ষণশীল আইনকানুন যেখানে, তো সেইখানে নিয়ে গেছে। তো আমাকে এখান (নিউ ইয়র্ক) থেকে সবকিছু করতে হচ্ছে আরকি।
মোটকথা হচ্ছে যে, এই ধরনের মানুষরাও এখন অ্যারেস্টেড হচ্ছেন। যারা বর্তমান প্রশাসনে এ ধরনের কাজ করছে, তার মধ্যে যে জিনিসটা হচ্ছে, এ ধরনের যদি কোনো প্রপোজাল পাওয়া যায়, মানুষ একটু শান্তি পাবে। আমরাও কথা বলার একটা সুযোগ পাব।
এ ধরনের ব্যাপার হচ্ছে, কিন্তু কথা হচ্ছে এটা কতদূর গড়াবে? কারণ এটা প্রথমে কমিটিতে পাস হতে হবে। তারপরে দুই হাউসে পাস হইতে হবে। তারপর প্রেসিডেন্ট সাইন করবেন। তারপরে গিয়ে এটা আইন হতে পারে।