আমেরিকার ম্যানহাটনের প্রাণকেন্দ্রে একটি অফিস ভবনে সোমবার বন্দুক হামলায় নিউ ইয়র্ক সিটি পুলিশ ডিপার্টমেন্ট-এনওয়াইপিডিতে কর্মরত বাংলাদেশি এক কর্মকর্তাসহ চারজন নিহত হয়েছেন। নিজের গুলিতে নিহত হয়েছেন হামলাকারী।
নিহত ওই পুলিশ কর্মকর্তার বিষয়ে গুরুত্বপূর্ণ কিছু তথ্য জানিয়েছে এনওয়াইপিডি। এ ছাড়া নিউ ইয়র্ক সিটি মেয়র এরিক অ্যাডামস তার ব্রিফিংয়েও কিছু তথ্য জানিয়েছেন।
এনওয়াইপিডি তাদের অফিশিয়াল ফেসবুক পেজে দেওয়া পোস্টে প্রাণ হারানো পুলিশ কর্মকর্তার ছবি সংযুক্ত করে জানায়, তার নাম দিদারুল ইসলাম। তিনি এনওয়াইপিডির ৪৭তম প্রিসেন্টের (থানা) কর্মকর্তা ছিলেন।
পোস্টে দিদারুল ইসলামের প্রশংসা করে বলা হয়, বেদনাদায়ক বিয়োগের দিনে তিনি নিউ ইয়র্কবাসীর সুরক্ষা দিচ্ছিলেন।
এ কর্মকর্তার অবদান সবসময় স্মরণ করা হবে বলেও পোস্টে উল্লেখ করা হয়।
এনওয়াইপিডি কমিশনার জেসিকা টিশ জানান, দিদারুল ইসলাম দুই ছেলে সন্তানের বাবা। তার স্ত্রী অন্তঃসত্ত্বা।
মেয়র এরিক অ্যাডামস যা জানালেন
মেয়র এরিক অ্যাডামস ব্রিফিংয়ে জানান, কাণ্ডজ্ঞানহীন বন্দুক হামলায় নিহত চারজনের একজন এনওয়াইপিডির কর্মকর্তা দিদারুল ইসলাম। তিনি ৪৭তম প্রিসেন্টে ছিলেন। তার বয়স মাত্র ৩৬ বছর।
দিদারুল এনওয়াইপিডিতে সাড়ে তিন বছর কাজ করেছেন জানিয়ে মেয়র বলেন, তিনি তার সর্বোচ্চ ভালো কাজটা করেছিলেন। তিনি জীবন রক্ষা করছিলেন।
অ্যাডামস আরও জানান, দিদারুল নিউ ইয়র্কবাসীর সুরক্ষা দিচ্ছিলেন। তিনি ছিলেন বাংলাদেশি অভিবাসী, যিনি এ নগরকে ভালোবাসতেন।
উল্লেখ্য, দিদারুলের বাড়ি বাংলাদেশের মৌলভীবাজারের কুলাউড়া উপজেলায়। দিদারুল ইসলামের নিহত হওয়ার খবর শুনে তাঁর বাবা হৃদ্রোগে আক্রান্ত হয়ে পড়েন। তিনি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।