ম্যানহাটনের প্রাণকেন্দ্রে একটি অফিস ভবনে সোমবার বন্দুক হামলায় নিহত নিউ ইয়র্ক সিটি পুলিশ ডিপার্টমেন্ট-এনওয়াইপিডির বাংলাদেশি কর্মকর্তা দিদারুল ইসলামের দাফন হবে বৃহস্পতিবার।
এনওয়াইপিডি জানিয়েছে, মর্মান্তিক হামলায় নিহত দিদারুলের দাফন হবে নিউ জার্সিতে।
ম্যানহাটনের ঘটনায় নিজের গুলিতে নিহত হন হামলাকারী।
গুলিতে প্রাণ হারানো দিদারুল ইসলাম এনওয়াইপিডির ৪৭তম প্রিসেন্টের (থানা) কর্মকর্তা ছিলেন।
এনওয়াইপিডি কমিশনার জেসিকা টিশ জানান, দিদারুল ইসলাম দুই ছেলে সন্তানের বাবা। তার স্ত্রী অন্তঃসত্ত্বা।
মেয়র এরিক অ্যাডামস ব্রিফিংয়ে জানান, কাণ্ডজ্ঞানহীন বন্দুক হামলায় নিহত চারজনের একজন এনওয়াইপিডির কর্মকর্তা দিদারুল। তিনি ৪৭তম প্রিসেন্টে ছিলেন। তার বয়স মাত্র ৩৬ বছর।
দিদারুল এনওয়াইপিডিতে সাড়ে তিন বছর কাজ করেছেন জানিয়ে মেয়র বলেন, তিনি তার সর্বোচ্চ ভালো কাজটা করেছিলেন। তিনি জীবন রক্ষা করছিলেন।
অ্যাডামস আরও জানান, দিদারুল নিউ ইয়র্কবাসীর সুরক্ষা দিচ্ছিলেন। তিনি ছিলেন বাংলাদেশি অভিবাসী, যিনি এ নগরকে ভালোবাসতেন।
বাংলাদেশি কমিউনিটিতে শোক
পুলিশ কর্মকর্তা দিদারুল ইসলামের মৃত্যুতে বাংলাদেশি কমিউনিটিতে শোকের ছায়া নেমে এসেছে।
সিটির ব্রঙ্কসে মঙ্গলবার দিদারুলের বাসার সামনে এনওয়াইপিডি কর্মকর্তা ও স্বজনরা ভিড় করেন। সন্ধ্যায় ব্রঙ্কসের একটি মসজিদে তার মরদেহের গোসল সম্পন্ন হয়।
এর আগে বেলা পাঁচটায় ব্রঙ্কসের পার্কচেস্টার জামে মসজিদে নেওয়া হয় নিউ ইয়র্কের এ পুলিশ কর্মকর্তার মরদেহ।
এনওয়াইপিডি কমিশনারসহ সহকর্মীরা ওই সময় শ্রদ্ধা নিবেদন করেন। এরপর মরহুমের মরদেহ নেওয়া হয় মসজিদের নির্ধারিত গোসলের স্থানে।
গোসলের আনুষ্ঠানিকতা শেষ করে সেখানে হিমঘরে লাশ সংরক্ষণ করা হয়। এর আগে বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত কর্মকর্তা দিদারুল ইসলামের পরিবারকে সান্ত্বনা দিতে ব্রঙ্কসের বাসায় ছুটে যান আত্মীয়স্বজন, প্রতিবেশী ও বন্ধুরা।
কিছুদিন পরপরই নিউ ইয়র্কে একের পর এক বন্দুকধারীদের হামলার ঘটনায় নিজেদের আতঙ্কের কথা জানান বাংলাদেশি-অ্যামেরিকানরা।
এদিকে শোক সইতে না পেরে বর্তমানে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন দিদারুল ইসলামের বাবা।