জুলাই ঘোষণাপত্রে যেসব বিষয় রাখার প্রস্তাব করেছিলাম তার বেশিরভাগই ঘোষণাপত্রে আসেনি বলে জানিয়েছেন গণঅধিকার পরিষদের সভাপতি নুরুল হক নুর। একই সঙ্গে, দেশের বৃহৎ স্বার্থে এই ঘোষণাপত্রকে সাধুবাদ জানিয়েছেন তিনি।
মঙ্গলবার (৫ আগস্ট) বিকালে প্রধান উপদেষ্টার জুলাই ঘোষণাপত্র পাঠের পর এক প্রতিক্রিয়ায় ডাকসুর সাবেক এই ভিপি এসব কথা বলেন।
নুরুল হক নুর বলেন, সংস্কারের বিষয়ে আমাদের একটি জোরাল অবস্থান ছিল। সেটি হলো- জুলাই সনদ স্বাক্ষরের পরই তা বাস্তবায়ন হবে। কিন্তু ঘোষণাপত্রে বলা হয়েছে- আগামী সংসদ সেটি বাস্তবায়ন করবে। সেক্ষেত্রে রাষ্ট্র সংস্কারের জনআকাঙ্ক্ষা অনিশ্চয়তার মধ্যে পড়েছে। তাছাড়া, জুলাই সনদের আইনগত ভিত্তি নিয়েও ঘোষণাপত্রে কার্যত কিছু বলা হয়নি।
গণঅধিকার পরিষদ সভাপতি বলেন, ঘোষণাপত্রে সাধারণত এতো বিস্তৃত ইতিহাস থাকে না, সংক্ষিপ্ত হয়। কিন্তু ঘোষণাপত্রে মূল থেকে অন্যান্য বিষয় বেশি চলে এসেছে। এই অভ্যুত্থানের প্রেক্ষাপট ছিল গত দেড় দশকের অত্যাচার, নির্যাতন, গুম, খুন। এর মধ্যে ২০১৮ সালের কোটা আন্দোলন ও নিরাপদ সড়ক আন্দোলন দেশের তরুণদের জাগ্রত করেছে। যার ফলে চব্বিশের আন্দলন থেকে একটি অভ্যুত্থান হয়েছে।
এর আগে, বিকাল ৫টার পরে জাতীয় সংসদের দক্ষিণ প্লাজায় জুলাই ঘোষণাপত্র পাঠ করেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস। এ ঘোষণাপত্রে ২৮টি দফা যুক্ত করা হয়েছে। ১৯৭১ সালের স্বাধীনতা থেকে শুরু করে ২০২৪ সালের জুলাই আন্দোলন তাতে স্থান পেয়েছে।
অধ্যাপক ইউনূস জুলাই ঘোষণাপত্র পাঠ করার সময় তার পাশে ছিলেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, জামায়াতে ইসলামীর সেক্রেটারি জেনারেল মিয়া গোলাম পরওয়ার, এনসিপি আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম, নাগরিক ঐক্যের সভাপতি মাহমুদুর রহমান মান্না এবং গণঅধিকার পরিষদের সভাপতি নুরুল হক নুর।