বাইডেনের বিরুদ্ধে তদন্তের নির্দেশ ট্রাম্পের

ডেস্ক রিপোর্ট
  ০৫ জুন ২০২৫, ১৮:৫১

সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের বিরুদ্ধে তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের বর্তমান প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। বাইডেনের মানসিক সক্ষমতা থাকা সত্ত্বেও তা গোপন রাখা হয়েছিল—এমন অভিযোগের ভিত্তিতেই এই নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। বুধবার (৪ জুন) এ-সংক্রান্ত তদন্তের নির্দেশনা জারি করেন ট্রাম্প।
ট্রাম্পের দাবি, দায়িত্ব পালনকালে বাইডেনের মানসিক সক্ষমতা হ্রাস পেলেও তার ঘনিষ্ঠ সহযোগীরা সেটি ইচ্ছাকৃতভাবে গোপন করেন। এমনকি গুরুত্বপূর্ণ নথিপত্রে স্বাক্ষরের ক্ষেত্রে ‘অটোপেন’ নামক যান্ত্রিক কলম ব্যবহার করা হতো বলেও অভিযোগ তুলেছেন তিনি। ফলে এসব স্বাক্ষর ও নির্বাহী আদেশকে ‘অবৈধ’ বলেও আখ্যা দেন ট্রাম্প।
এ নিয়ে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প এক বিবৃতিতে বলেন, “এটি আমেরিকার ইতিহাসে সবচেয়ে বিপজ্জনক এবং গভীর উদ্বেগজনক ষড়যন্ত্রগুলোর একটি। মার্কিন জনগণকে অন্ধকারে রাখা হয়েছে—কারা প্রকৃতপক্ষে নির্বাহী ক্ষমতা চালিয়েছেন, সেটি জানার সুযোগ দেওয়া হয়নি।”
এ তদন্তের ক্ষেত্রে আইন উপদেষ্টা, অ্যাটর্নি জেনারেলসহ সংশ্লিষ্ট দফতরসমূহকে একযোগে কাজ করার নির্দেশনা দিয়েছেন ট্রাম্প।
প্রসঙ্গত, গত প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের সময় থেকেই বাইডেনের মানসিক স্বাস্থ্যের বিষয়টি নিয়ে প্রশ্ন তুলে আসছেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। তার দাবি, বাইডেন রাষ্ট্র পরিচালনায় অক্ষম ছিলেন এবং তাঁর হয়ে অন্যরা সিদ্ধান্ত নিতেন।
বাইডেনের জনসম্মুখে কম আসা, সাক্ষাৎকারে অনীহা এবং বিতর্কে দুর্বল পারফরম্যান্সকে তার মানসিক অক্ষমতার প্রমাণ হিসেবে তুলে ধরছেন রিপাবলিকান নেতারা। এমনকি বিতর্কের সময় ৮১ বছর বয়সি বাইডেন কথাবার্তায় অসংলগ্নতা দেখিয়েছেন বলেও উল্লেখ করা হচ্ছে।
এ বিষয়ে সম্প্রতি প্রকাশিত একটি বইয়েও দাবি করা হয়, বাইডেনের নিকটজনেরা তার মানসিক অবস্থার অবনতির বিষয়টি জেনেও তা গোপন রেখেছিলেন। এমনকি তিনি কখনো কখনো পরিচিতদের চিনতে পারতেন না—যেমন, অভিনেতা ও ডেমোক্র্যাটিক দলের ঘনিষ্ঠ জর্জ ক্লুনিকেও ভুলে গিয়েছিলেন।
এছাড়া, সম্প্রতি বাইডেনের প্রোস্টেট ক্যানসার ধরা পড়ার বিষয়টিও আলোচনায় এসেছে। ট্রাম্পপন্থীরা বলছেন, বাইডেনের ঘনিষ্ঠজনেরা এ তথ্য আগেই জানতেন, কিন্তু তা জনসম্মুখে প্রকাশ করেননি।
তদন্তে বাইডেনের নির্বাহী আদেশগুলোর পেছনে প্রকৃত সিদ্ধান্তদাতাদের চিহ্নিত করার পাশাপাশি অটোপেন ব্যবহারের মাধ্যমে জারিকৃত নীতিমালাসমূহও খতিয়ে দেখা হবে বলে জানানো হয়েছে।