ইরান-ইসরায়েল যুদ্ধবিরতি নয়, অপেক্ষা করছে আরও বড় কিছু

ট্রাম্প
ডেস্ক রিপোর্ট
  ১৭ জুন ২০২৫, ২১:৫১
আপডেট  : ১৭ জুন ২০২৫, ২১:৫৩

তড়িঘড়ি করে কানাডায় চলমান জি-৭ সম্মেলন ছেড়ে যাওয়ার কারণ ইরান ইসরায়েলের যুদ্ধবিরতি নয়, বরং আরও বড় কিছু বলে দাবি করেছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প।
এর আগে ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাক্রোঁ বলেছিলেন, ট্রাম্প ইসরায়েল ও ইরানের মধ্যকার যুদ্ধবিরতি সংক্রান্ত কোনও আলোচনায় অংশগ্রহণ করার জন্য ওয়াশিংটন ফিরে গেছেন।
তবে, এমানুয়েল ম্যাক্রোঁ ‘ভুল’ বলেছেন উল্লেখ করে ট্রাম্প তার ট্রুথ সোশ্যালে লিখেছেন, আমি কেন ওয়াশিংটন ফিরে যাচ্ছি, ম্যাক্রোঁর সে ব্যাপারে কোনো ধারণাই নেই। তবে, এটা নিশ্চিত যে এর সাথে যুদ্ধবিরতির কোনো সম্পর্ক নেই। এটির তার থেকেও বড় কিছু।
যদিও পোস্টে সেই ‘বড়’ ব্যাপারটি ঠিক কী- তার বিস্তারিত কিছু বলেননি ট্রাম্প। তবে, তিনি পোস্ট শেষ করেছেন রহস্যময়ভাবে ‘স্টে টিউনড’ বা ‘সাথেই থাকুন’ লিখে।
এর আগে ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট বলেছিলেন, ইরান-ইসরায়েল সংঘাত নিরসনে যুক্তরাষ্ট্র কিছু একটা করতে যাচ্ছে। কানাডায় জি-৭ শীর্ষ সম্মেলনের ফাঁকে সাংবাদিকদের তিনি বলেন, যুক্তরাষ্ট্র একটি যুদ্ধবিরতি প্রস্তাব পেশ করেছে।
ম্যাক্রোঁ ইসরায়েল-ইরান উভয়কেই বেসামরিক নাগরিকদের বিরুদ্ধে হামলা বন্ধ করার আহ্বান জানান। সেই সঙ্গে ইসরায়েলকে সতর্ক করে তনি বলেন, ইরানের ধর্মীয় শাসনব্যবস্থা উৎখাত করার লক্ষ্যে হামলা করাটা ‘কৌশলগত ভুল’ হবে।
তিনি বলেন, যারা ভেবেছেন যে বাইরে থেকে হামলা চালিয়ে কোনো দেশকে তার ইচ্ছার বিরুদ্ধে চালানো যায়, তারা সবসময় ভুল করেছে।
ম্যাক্রোঁ সাংবাদিকদের আরও বলেন, একটি বৈঠক ও আলোচনার প্রস্তাব সত্যিই রয়েছে। বিশেষ করে, যুদ্ধবিরতি অর্জন এবং তারপর বৃহত্তর আলোচনা শুরু করার জন্য একটি প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে। এখন দেখতে হবে, পক্ষগুলো এটি মানে কিনা।
এদিকে, ম্যাক্রোঁ যখন কথা বলেন ঠিক সেই সময় হোয়াইট হাউজ ঘোষণা করে, মধ্যপ্রাচ্যে ক্রমবর্ধমান সংকটের কারণে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প সম্মেলন থেকে তাড়াতাড়ি চলে যাবেন। এরপরই ঘোষণা আসে জরুরিভিত্তিতে ইরানের রাজধানী তেহরানের বাসিন্দাদের সরে গিয়ে শহরটি খালি করতে বলেছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প।
এক বিবৃতিতে ট্রাম্প বলেন, ইরানের পারমাণবিক চুক্তিতে স্বাক্ষর করা উচিত ছিল। আমি তাদের চুক্তি স্বাক্ষর করতে বলেছিলাম। এটা লজ্জার, আর মানব জীবনের ক্ষতি। সাধারণভাবে বলছি, ইরান কোনোভাবেই পারমাণবিক অস্ত্রের অধিকারী হতে পারবে না। আমি এটি বারবার বলেছি। এখন জরুরিভিত্তিতে তেহরান খালি করুন।

সূত্র: বিবিসি