নিজ সামাজিক যোগাযোগ প্ল্যাটফর্ম ট্রুথ সোশ্যালে এক পোস্টে তিনি এ কথা জানান। আমেরিকায় ওষুধের দাম কমাতে একটি নির্বাহী আদেশে সই করবেন বলে রবিবার সন্ধ্যায় জানিয়েছেন প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্প।
নিজ সামাজিক যোগাযোগ প্ল্যাটফর্ম ট্রুথ সোশ্যালে এক পোস্টে তিনি এ কথা জানান।
পোস্টে প্রেসিডেন্ট জানান, সোমবার সকালে তিনি একটি নির্বাহী আদেশে সই করবেন।
তার মতে, এ আদেশের ফলে ওষুধের দাম ব্যাপকভাবে কমে আসবে।
‘আমাদের দেশের ইতিহাসের অন্যতম সর্বোচ্চ গুরুত্বপূর্ণ একটি নির্বাহী আদেশে আমি সই করতে যাচ্ছি। (এর মাধ্যমে) প্রায় তাৎক্ষণিকভাবে প্রেসক্রিপশন ওষুধ ও চিকিৎসায় ব্যবহৃত ওষুধের দাম কমে যাবে ৩০ শতাংশ থেকে ৮০ শতাংশ’, পোস্টে লিখেন ট্রাম্প।
“আমি ‘মোস্ট ফেভারড ন্যাশন’স পলিসি’ প্রবর্তন করব, যার ফলে দেশ হিসেবে অ্যামেরিকা যে দাম দেবে, তা বিশ্বের অন্য যেকোনো জায়গার তুলনায় সর্বনিম্ন”, যোগ করেন তিনি।
সিএনএনের প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়, ট্রাম্প এমন এক সময়ে পরিকল্পনাটির কথা জানালেন, যখন তার প্রশাসন ওষুধ আমদানির ওপর শুল্ক আরোপের বিষয়টি খতিয়ে দেখছে। ট্রাম্পের প্রথম মেয়াদে ওষুধ আমদানির ওপর শুল্ক আরোপ করা হয়নি।
আমদানিতে যেকোনো ধরনের শুল্ক আরোপ করা হলে তা কিছু ওষুধের সংকটকে আরও ঘনীভূত করবে। বিশেষত জেনেরিক ওষুধের সংকট বাড়বে, যা শেষ নাগাদ দাম বাড়িয়ে দেবে।
ট্রাম্পের সইয়ের অপেক্ষায় থাকা নির্বাহী আদেশকে ২০২০ সালের নীতিমালার সঙ্গে তুলনা করে দেখা যাচ্ছে, এর মাধ্যমে ফেডারেল হেলথ ইন্স্যুরেন্স কর্মসূচি মেডিকেয়ার ও এর সুফলভোগীদের ব্যয় সাশ্রয় হতে পারে।
এ আদেশ রোগীদের ওষুধ প্রাপ্তিকে সীমিত করে দিতে পারে বলেও মনে করেন বিশেষজ্ঞরা, তবে পুরো বিষয়টিই নির্ভর করছে নীতিমালা কীভাবে সাজানো হয়েছে, তার ওপর।