এখন থেকে সামন্য ভুল কিংবা ছোট অপরাধে অভিযুক্ত হলেই নন ইমিগ্র্যান্টদের ভিসা বাতিল করবে যুক্তরাষ্ট্রের স্টেট ডিপার্টমেন্ট। শুক্রবার নিজের এক্স হ্যান্ডেলে এমনটি ঘোষণা দিয়েছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিও। এতে করে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প প্রশাসনের অভিবাসন বিরোধী কঠোর নীতিতে গ্রীন কার্ডধারী, স্টুডেন্ট ভিসা, বিনিয়োগ ও ওয়ার্ক পারমিট সহ নন সিটিজেন যত ভিসাধারী আছেন সামান্য অপরাধে বিনা নোটিশে তাদের ভিসা স্ট্যাটাস বাতিল করা হবে।
মার্কো রুবিও এক্স হ্যান্ডেলে লিখেন ‘ক্যাচ এন্ড রিভোক’ (ধরো এবং বাতিল করো)নীতির আওতায় এখন নন সিটিজেন কেউ যদি বৈধভাবে অবস্থান করে এদেশের আইন ভঙ্গ করেন আমরা তাদের ভিসা বাতিল করবো এবং বহিষ্কার করবো।
এ ঘোষণার পর ইমিগ্রেশন বিশ্লেষকরা মনে করছেন, স্টেট ডিপার্টমেন্টের এমন উদ্যোগ যুক্তরাষ্ট্রে অনাকাঙ্খিত ভুল যার জন্য ভিসা বাতিলের শিকার হতে পারের যে কেউ। তাদের মতে ছোটখাট অপরাধ যেমন ড্রাইভিং লাইসেন্সধারী কেউ যদি পার্কিং কিংবা ওভার স্পিডিং সহ গাড়ির চালানোর ক্ষেত্রে নিয়ম ভঙ্গ করে টিকেট যদি পান ও কেউ বিনা ভাড়ায় মেট্রো ট্রানজিট ব্যবহার করেন, কিংবা কোন ব্যক্তি পাবলিক গেদারিং অথবা কোন বিক্ষোভে অংশ নিয়ে বাকবিতন্ডায় জড়িয়ে আইনশৃঙ্খলাবাহিনীর হাতে ধরা পড়েন এবং গার্বেজসহ ছোটখাট কারণে অভিযুক্ত হলেও পড়তে পারেন ভিসা বাতিলের সম্মুখীন। অভিযুক্ত হওয়ার পর আদৌ কি ওই ব্যক্তি অপরাধ করেছেন কিনা সেটি যাচাই বাছাইয়েরও কোন সুযোগ থাকবেনা।
ইমিগ্রেশন বিশ্লেষকদের পরামর্শ, যুক্তরাষ্ট্রে অবস্থানরত সবাই সতর্ক ও সচেতন হতে হবে। অনাকাঙ্খিত কোন ঘটনার শিকার না হন সেজন্য নিজেকে চলাফেরার ক্ষেত্রে সচেতন থাকতে হবে।
রুবিও বলেছেন, ‘‘ভিসা একটি বিশেষ সুবিধা, এটি কোন অধিকার নয়’’
সাম্প্রতিক সময়ে প্রশাসন গাজায় ইসরায়েল যুদ্ধের বিরুদ্ধে প্রতিবাদকারী বা প্রো-প্যালেস্টাইনিয়ান মতামত প্রকাশকারী শিক্ষার্থীদের গ্রেপ্তার ও ভিসা বাতিল করেছে। লক্ষ্য করে কঠোর পদক্ষেপ নিয়েছে। ছোটখাটো আইনভঙ্গ, যেমন ট্রাফিকআইন ভঙ্গেও শিক্ষার্থদের ভিসা বাতিল করা হয়েছে।
আমেরিকান ইমিগ্রেশন কাউন্সিলের সিনিয়র ফেলো অ্যারন রেইখলিন-মেলনিক বলেছেন ‘‘গাড়ি চালনায় ওভারস্পিডিং টিকিটের জন্য ইতিমধ্যে ট্রাম্প প্রশাসন ছাত্রদের ভিসা বাতিল করেছে। এখন তারা আরো কঠোর হয়েছে। এটা বেশ উদ্বেগের।’’