মার্কিন জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টাকে সরিয়ে দিলেন ট্রাম্প

আন্তর্জাতিক ডেস্ক
  ০২ মে ২০২৫, ১১:২৮


যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা পদ থেকে মাইক ওয়াল্টজকে বৃহস্পতিবার (১ মে) সরিয়ে দিয়েছেন দেশটির প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। ওই পদে ভারপ্রাপ্ত হিসেবে অস্থায়ীভাবে দায়িত্ব পালন করবেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিও। ব্রিটিশ বার্তাসংস্থা রয়টার্স এ খবর জানিয়েছে।
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ট্রাম্প লিখেছেন, যুক্তরাষ্ট্রের স্বার্থ সমুন্নত রাখতে কঠোর পরিশ্রম করেন ওয়াল্টজ। তাকে জাতিসংঘে পরবর্তী মার্কিন প্রতিনিধি হিসেবে মনোনীত করা হবে।
ক্ষমতা গ্রহণের পর এই প্রথম ঘনিষ্ঠ কর্মকর্তাদের মধ্যে বড় ধরনের অদলবদলের সিদ্ধান্ত নিলেন ট্রাম্প। এর আগে বৃহস্পতিবার একাধিক সূত্র জানায়, ট্রাম্প জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টার পদ থেকে ওয়াল্টজকে সরিয়ে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।
ফ্লোরিডার সাবেক কংগ্রেসম্যান এবং অবসরপ্রাপ্ত গ্রিন বেরেট সদস্য (সেনাবাহিনীর বিশেষ দল) ওয়াল্টজ সম্প্রতি হোয়াইট হাউজের ভেতর সমালোচনার মুখে পড়েন, বিশেষত মার্চে শীর্ষ জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টাদের ‘সিগন্যাল চ্যাট’ কেলেঙ্কারিতে জড়িয়ে পড়ার পর।
হোয়াইট হাউজে বৃহস্পতিবার আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে ট্রাম্প বলেছেন, আমার কোনও কিছুতে সমস্যা হলেই রুবিওকে তলব করি। আর সে ঠিকই সব সমাধান করে ফেলে।
এর আগে ১৯৭০ এর দশকে একইসঙ্গে পররাষ্ট্রমন্ত্রী এবং জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টার দায়িত্ব একইসঙ্গে পালন করেছিলেন হেনরি কিসিঞ্জার। পরবর্তী নিরাপত্তা উপদেষ্টা মনোনীত হওয়ার আগ পর্যন্ত এখন দায়িত্ব পালন করবেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী রুবিও। এটি যুক্তরাষ্ট্রের অন্যতম শক্তিশালী পদ, যেটাতে দায়িত্ব পালনের জন্য কংগ্রেসের অনুমোদনের প্রয়োজন হয় না।
ওয়াল্টজের সহকারী এবং এশিয়া বিষয়ক বিশেষজ্ঞ অ্যালেক্স ওয়াংকেও পদত্যাগে বাধ্য করা হয়েছে বলে রয়টার্সকে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্ট দুজন ব্যক্তি। প্রথম মেয়াদে ট্রাম্প প্রশাসনে তিনি উত্তর কোরিয়া বিষয়ক দায়িত্বে ছিলেন।
ট্রাম্পের জাতীয় নিরাপত্তা বিভাগে এক মাসের ব্যবধানে উল্লেখযোগ্য রদবদল হয়েছে। ১ এপ্রিলের পর থেকে জাতীয় নিরাপত্তা পরিষদের অন্তত ২০ জন কর্মীকে বরখাস্ত করা হয়েছে, জাতীয় নিরাপত্তা সংস্থার পরিচালককে পদচ্যুত করা হয়েছে এবং প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের তিনজন শীর্ষ রাজনৈতিক নিয়োগপ্রাপ্তকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে।
প্রশাসনের ঘনিষ্ঠ সূত্রগুলোর মতে, এসব বরখাস্তের ফলে পরিষদের কর্মীদের মনোবলে বড় আঘাত লেগেছে।
জাতীয় নিরাপত্তা পরিষদ হলো প্রেসিডেন্টদের জন্য প্রধান নীতিনির্ধারণী প্ল্যাটফর্ম, যার মাধ্যমে বিশ্বের অস্থিতিশীল অঞ্চলগুলোতে মার্কিন কৌশল নির্ধারণ করা হয় এবং তা বাস্তবায়নে গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।