এক ম্যাচ হাতে রেখেই সিরিজ নিশ্চিত করার দ্বারপ্রান্তে বাংলাদেশ। একটি হাফ সেঞ্চুরি ও আরও তিনটি মোটামুটি মাঝারিমানের ইনিংসের ওপর ভর করে দ্বিতীয় টি-টোয়েন্টি ম্যাচে স্বাগতিক আরব আমিরাতকে ২০৬ রানের বিশাল লক্ষ্য ছুঁড়ে দিয়েছে টাইগাররা।
শারজাহ ক্রিকেট স্টেডিয়ামে টস হেরে ব্যাট করতে নামে বাংলাদেশ। দুই ওপেনার তানজিদ হাসান তামিম এবং লিটন দাস মিলে ৯০ রানের বিশাল জুটি গড়েই বড় স্কোরের ইঙ্গিত দেন। এরপর শেষ পর্যন্ত নির্ধারিত ২০ ওভারে ৫ উইকেট হারিয়ে ২০৫ রান সংগ্রহ করে বাংলাদেশ।
প্রথম ম্যাচেও টস হেরে ব্যাট করতে নেমে ১৯১ রান সংগ্রহ করেছিলো বাংলাদেশের ব্যাটাররা। ওই ম্যাচে একা খেলে সেঞ্চুরি করেছিলেন পারভেজ হোসেন ইমন।
দ্বিতীয় ম্যাচে আজ পারভেজকে দলেই রাখা হয়নি। পরিবর্তে মাঠে নামানো হয় নাজমুল হোসেন শান্তকে। তবে পারভেজের পরিবর্তে ইনিংস ওপেন করতে নামেন অধিনায়ক লিটন দাস। দুই ওপেনার মিলে শুরু থেকেই ছিলেন মারমুখি। বিশেষ করে তানজিদ তামিম। ওপেনিং জুটিতে ৫ ওভারেই ওঠে ৫৪ রান। প্রথম পাওয়ার প্লেতে কোনো উইকেট না হারিয়ে বাংলাদেশ তোলে ৬৬ রান।
২৫ বলে ক্যারিয়ারের চতুর্থ হাফ সেঞ্চুরি পূরণ করেন তানজিদ হাসান তামিম। এরপর ৯.১ ওভারে ৯০ রানের জুটি গড়ে বিচ্ছিন্ন হন দু‘জন। ৩৩ বলে ৮ বাউন্ডারি ও ৩ ছক্কায় ৫৯ রান করে আউট হন তামিম। এরপর ৩৫ রানের জুটি গড়েন লিটন এবং নাজমুল হোসেন শান্ত। ৩২ বলে ৪০ রান করে আউট হন লিটন। দলীয় রান এ সময় ১২৫।
নাজমুল হোসেন শান্ত ১৯ বলে খেলেন ২৭ রানের ইনিংস। ২টি বাউন্ডারি ও একটি ছক্কা মেরে আউট হন তিনি। তাওহিদ হৃদয় শেষ দিকে কিছুটা ঝড় তোলেন। ২৪ বলে তিনি খেলেন ৪৫ রানের ইনিংস। ৩টি বাউন্ডারি ও ২টি ছক্কার মার মারেন তাওহিদ।
এছাড়া জাকের আলি অনিক ৬ বলে ১৮ রান করে বিদায় নেন। শেষ দিকে শামীম পাটোয়ারি ৬ ও রিশাদ হোসেন ২ রান করে অপরাজিত থাকেন।