রাশিয়া ও বেলারুশের যৌথ সামরিক মহড়ায় অংশ নিয়েছে বাংলাদেশ ও ভারতসহ ছয়টি দেশ। রাশিয়ার নেতৃত্বাধীন পাঁচ দিনব্যাপী এই মহড়ার নাম ‘জাপাড-২০২৫’। রাশিয়ার রাষ্ট্রীয় সংবাদ সংস্থা তাসের বরাতে এই তথ্য জানিয়েছে সংবাদমাধ্যম আল জাজিরা। ইরান, বাংলাদেশ, বুরকিনা ফাসো, ডেমোক্রেটিক রিপাবলিক অব কঙ্গো (ডিআরসি) এবং মালিও এ মহড়ায় অংশ নিয়েছে বলে আলজাজিরার প্রতিবেদনে বলা হয়েছে।
ভারতের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, চলমান এই মহড়ায় অংশ নিতে তাদের ৬৫ জন সেনা পাঠানো হয়েছে। রুশ সংবাদ সংস্থা তাস জানিয়েছে, মস্কোর সঙ্গে দীর্ঘস্থায়ী প্রতিরক্ষা সম্পর্ক আরো জোরদার করতে দিল্লি এই সামরিক মহড়ায় যোগ দিয়েছে। গত ১২ সেপ্টেম্বর থেকে ১৬ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত এই যৌথ মহড়া অনুষ্ঠিত হয়। সম্ভাব্য আক্রমণের ক্ষেত্রে সামরিক প্রস্তুতি পরীক্ষা করা হয় এতে।
মহড়ায় অংশ নেয় প্রায় এক লাখ সেনা এবং এতে পারমাণবিক সক্ষমতা সম্পন্ন বোমারু বিমান ও যুদ্ধজাহাজ প্রদর্শন করা হয়।
মহড়ায় ভারতের অংশগ্রহণ বিশেষভাবে নজর কেড়েছে। কুমাওন রেজিমেন্টের একটি ব্যাটালিয়নের নেতৃত্বে ভারতীয় সেনারা এই মহড়ায় অংশ নেয়। ভারত এর আগেও রাশিয়ার সামরিক মহড়ায় অংশ নিয়েছে।
ইউক্রেনে রাশিয়ার পূর্ণমাত্রার অভিযানের আগে ২০২১ সালে দিল্লি ভলগোগ্রাদ অঞ্চলে সন্ত্রাসবিরোধী ও প্রচলিত যুদ্ধ কার্যক্রমে অংশ নিতে সেনা পাঠিয়েছিল।
তাস জানিয়েছে, এ বছর ইরানও ‘জাপাড’ মহড়ায় অংশ নিয়েছে। যদিও সরকারি পর্যায় থেকে বিষয়টি নিশ্চিত করা হয়নি। রাশিয়ার কৌশলগত মিত্র ইরান ইউক্রেন যুদ্ধে মস্কোকে ড্রোন সরবরাহ করছে। পশ্চিমা গোয়েন্দাদের মতে, তেহরান মস্কোকে ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্রও দিচ্ছে।
তবে এ বিষয়ে এখনো কোনো পক্ষ থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে নিশ্চিত তথ্য পাওয়া যায়নি।
এই মহড়ায় ১ লাখ সেনা অংশগ্রহণ করে এবং পারমাণবিক বোমারু বিমান ও যুদ্ধজাহাজসহ শক্তি প্রদর্শন করে। ন্যাটো দেশগুলোর সঙ্গে উত্তেজনা বৃদ্ধি এবং গত সপ্তাহে পোল্যান্ডে রাশিয়ান ড্রোন ভূপাতিত করার কয়েকদিন পর এই মহড়াটি অনুষ্ঠিত হয়।
সূত্র : আলজাজিরা