নিউ ইয়র্কে বাংলাদেশি পুলিশ কর্মকর্তা হত্যাকারীর মস্তিষ্কের রোগ ছিল

ডেস্ক রিপোর্ট
  ২৭ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ১৩:১৬

যুক্তরাষ্ট্রে নিউ ইয়র্ক পুলিশ বিভাগের (এনওয়াইপিডি) বাংলাদেশি অভিবাসী পুলিশ কর্মকর্তা দিদারুল ইসলামসহ চারজনকে হত্যাকারী শেন ট্যামুরা জটিল মস্তিষ্কের রোগ ক্রনিক ট্রম্যাটিক এনসেফেলোপ্যাথি-সিটিএতে আক্রান্ত ছিলেন। তার ময়নাতদন্ত করা নিউ ইয়র্ক সিটি অফিস অব দ্য চিফ মেডিক্যাল এক্সামিনারের বরাতে শুক্রবার এ তথ্য নিশ্চিত করেছে মার্কিন সংবাদমাধ্যম এবিসি নিউজ। 
প্রতিবেদন অনুযায়ী, ন্যাশনাল ফুটবল লিগ-এনএফএলের সদর দপ্তর থাকা ভবনে গত ২৮ জুলাই প্রাণঘাতী বন্দুক হামলা চালান ট্যামুরা। চারজনকে হত্যা করে আত্মহত্যা করেন তিনি।
হামলার দিন সাবেক এনএফএল খেলোয়াড় ট্যামুরার পকেটে পুলিশ তিন পৃষ্ঠার একটি চিরকুট খুঁজে পায়। এতে লেখা ছিল, তার মস্তিষ্কে বড় ধরনের আঘাত রয়েছে।
এ আঘাতের জন্য এনএফএলকে দায়ী করে ট্যামুরা চিরকুটে লিখেছিলেন, খেলোয়াড়দের মস্তিষ্কের বড় ধরনের ক্ষতিগুলোর কথা গোপন করে তারা শুধু মুনাফা লাভ করে যাচ্ছে।

তিনি আরো লেখেন, ‘আমার মস্তিষ্ক সম্পর্কে জানার চেষ্টা করো।
আমি দুঃখিত।’
ট্যামুরার চিরকুটের ওপর ভিত্তি করে তার মস্তিষ্কের পরীক্ষা-নিরীক্ষা চালান ময়নাতদন্তকারীরা। পরীক্ষায় ট্যামুরার মস্তিষ্কের কিছু অংশের টিস্যুতে সিটিএর লক্ষণ খুঁজে পান তারা।
গত ২৮ জুলাই ম্যানহাটনের একটি বহুতল ভবনে উঠে এলোপাতাড়ি গুলি চালান ট্যামুরা।
তদন্ত কর্মকর্তাদের মতে, সরাসরি এনএফএলের ভবনে হামলা করার ইচ্ছা ছিল ট্যামুরার, কিন্তু ভুল লিফটে ওঠার কারণে তা সম্ভব হয়নি।
ঘটনাস্থলে তার এলোপাতাড়ি গুলিতে দায়িত্বকালে প্রাণ হারান বাংলাদেশি অভিবাসী এনওয়াইপিডির সদস্য দিদারুল ইসলাম। এ ছাড়া ভবনের নিরাপত্তারক্ষী অ্যালান্ড এটিয়েন এবং দুই নারী জুলিয়া হাইমেন ও রুডিন গুলিবিদ্ধ হয়ে নিহত হন।