সাবেক সেনাপ্রধান লেফটেন্যান্ট জেনারেল হারুন অর রশিদের মরদেহ ময়নাতদন্ত ছাড়াই দাফনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে প্রয়াতের পরিবার। সোমবার (৪ আগস্ট) হারুন অর রশিদের ফুফাতো বোন ও চিকিৎসক ডা. নজিবুন নাহার এ তথ্য গণমাধ্যমকে নিশ্চিত করেছেন।
তিনি বলেন, সাবেক সেনাপ্রধানের মরদেহ চট্টগ্রাম ক্লাব থেকে প্রথমে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়ার পরিকল্পনা করা হয়। পরে পরিবার মরদেহ ময়নাতদন্ত না করার সিদ্ধান্ত নেয়। এর আগে সোমবার দুপুরে চিটাগাং ক্লাব লিমিটেডের গেস্ট হাউজ থেকে তার মরদেহ উদ্ধার করা হয়।
জানা যায়, রোববার (৩ আগস্ট) বিকেল ৪টা ৪০ মিনিটে চিটাগং ক্লাব লিমিটেডের গেস্ট হাউজ কমপ্লেক্সের তৃতীয় তলার ৩০৮ নম্বর রুমে যান সেনাবাহিনীর সাবেক প্রধান। পরে তিনি তার মামা চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি অ্যাডভোকেট ইব্রাহীম হোসেন চৌধুরী বাবুল ও সাখাওয়াত হোসেনের নন্দনকাননের বাসায় সৌজন্য সাক্ষাৎ করতে যান। সাক্ষাৎ শেষে পুনরায় রাত ১০টা ৪৫ মিনিটে আবার গেস্ট হাউজে আসেন।
সোমবার সকাল ১০টায় গেস্ট হাউজের লোকজন দরজা নক করলে ভেতর থেকে কোনো সাড়াশব্দ পাওয়া যায়নি। পরে গেস্ট হাউজের লোকজন রুমের ভেতরে প্রবেশ করেন এবং তাকে অজ্ঞান অবস্থায় দেখতে পান। এরপর চিকিৎসক এসে মৃত ঘোষণা করেন।
হারুন অর রশিদের ভাগনে সাংবাদিক আরিচ আহমেদ শাহ বলেন, এক সপ্তাহ আগে মারা যাওয়া ফুফাতো ভাই অধুনালুপ্ত দৈনিক বঙ্গবার্তার সম্পাদক কে এম শাখাওয়াত হোসেনের পরিবারকে সমবেদনা জানাতে রোববার চট্টগ্রামে আসেন হারুন অর রশিদ। প্রয়াত শাখাওয়াত হোসেনের বাসায় রাতের খাবার খেয়ে রাতযাপন করতে রাত ১০টায় চট্টগ্রাম ক্লাবে যান। সকালে নির্ধারিত সময়ে প্রাতরাশে না যাওয়ায় ক্লাবের কর্মকর্তারা ডাকাডাকি করেন। পরে তার মুঠোফোনে ফোন করে রিং বাজলেও সাড়া দেননি। পরে ক্লাব কর্তৃপক্ষ বিকল্প চাবি দিয়ে দরজা খুললে মৃত অবস্থায় পান। পরে পুলিশ ও সেনাদপ্তরে খবর দেওয়া হলে ক্যান্টনমেন্ট থেকে ঊর্ধ্বতন সেনা কর্মকর্তা ও সিএমপি পুলিশ ঘটনাস্থলে যান।
লেফটেন্যান্ট জেনারেল এম এ হারুন অর রশিদ বীর প্রতীক ২০০০ সালের ডিসেম্বর থেকে ২০০২ সালের জুন পর্যন্ত সেনাবাহিনীর প্রধান হিসেবে দায়িত্বরত ছিলেন।