কিশোরগঞ্জের অষ্টগ্রামে বিএনপির দুই গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এতে অন্তত ৪০ জন আহত হয়েছেন। সংঘর্ষ চলাকালে ভাঙচুর, লুটপাট ও অগ্নিসংযোগের ঘটনাও ঘটেছে।
মঙ্গলবার (১ জুলাই) সকালে উপজেলার খয়েরপুর-আব্দুল্লাপুর ইউনিয়নের আব্দুল্লাপুর গ্রামে এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।
দীর্ঘদিন ধরে ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি কামাল পাশা ও কিশোরগঞ্জ জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের যুগ্ম-আহ্বায়ক ফরহাদ আহমেদের মধ্যে পারিবারিক ও রাজনৈতিক বিরোধ চলছিল। সেই বিরোধের জেরে এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে বলে জানিয়েছেন স্থানীয়রা।
স্থানীয় ও পুলিশ সূত্র জানায়, সকালে কামাল পাশা পক্ষের লোকজন ফরহাদ আহমেদের বাড়ি ‘বাঘাবাড়ি’তে অতর্কিত হামলা চালান। এতে দুই পক্ষের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টাধাওয়া ও সংঘর্ষ শুরু হয়। সংঘর্ষে ইটপাটকেল, লাঠিসোঁটা ও দেশীয় অস্ত্র ব্যবহার করা হয়। একপর্যায়ে বাঘাবাড়িতে ভাঙচুর, লুটপাট এবং অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটে। খবর পেয়ে অষ্টগ্রাম থানার পুলিশ দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছায়। পরে তারা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনেন।
ঘটনার বিষয়ে বিএনপি নেতা কামাল পাশা বলেন, ‘আমি সোম ও মঙ্গলবার একটি খেলার মাঠ পরিদর্শনের উদ্দেশ্যে বাঘাবাড়ির পাশ দিয়ে যাচ্ছিলাম। এসময় প্রতিপক্ষ আমার ওপর হামলা চালায়। পরে আমার সমর্থকরা আমাকে উদ্ধার করে নিয়ে আসে। এ ঘটনায় আমাদের অন্তত ১৫-২০ জন আহত হয়েছেন।’
তবে হামলার বিষয়টি অস্বীকার করেন স্বেচ্ছাসেবকদল নেতা ফরহাদ আহমেদ। তিনি বলেন, ‘আমি জেলা স্বেচ্ছাসেবকদলের কমিটিতে স্থান পাওয়ায় কামাল পাশা আমার বিরুদ্ধে অপপ্রচার চালাচ্ছেন। মঙ্গলবার সকালে তিনি পরিকল্পিতভাবে শত শত লোক নিয়ে আমাদের বাড়িতে হামলা চালান। এসময় ভাঙচুর, লুটপাট ও অগ্নিসংযোগের পাশাপাশি আমাদের অন্তত ১৫ থেকে ২০ জন আহত হন।’
অষ্টগ্রাম থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. রুহুল আমিন ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।
তিনি বলেন, বর্তমানে পরিস্থিতি শান্ত রয়েছে। অভিযোগের ভিত্তিতে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে। তবে এখনো কোনো পক্ষই লিখিত অভিযোগ করেননি।