নিউ ইয়র্কের ম্যানহাটনের একটি অফিস ভবনে বন্দুক হামলায় নিহত নিউ ইয়র্ক সিটি পুলিশ ডিপার্টমেন্টের (এনওয়াইপিডি) কর্মকর্তা দিদারুল ইসলামকে শেষ বিদায় জানালেন সহকর্মী ও স্বজনেরা। বাংলাদেশ থেকে উন্নত জীবনের আশায় যুক্তরাষ্ট্রে গিয়ে সেখানকার পুলিশ বিভাগে যোগ দিয়েছিলেন দিদারুল।
নিউ ইয়র্কে বৃহস্পতিবার (স্থানীয় সময়) জানাজা শেষে দিদারুলকে দাফন করা হয় নিউ জার্সির টটোয়ার একটি বেসরকারি কবরস্থানে। এর আগে ব্রঙ্কসের পার্কচেস্টার জামে মসজিদে তার জানাজা অনুষ্ঠিত হয়।
জানাজায় অংশ নেন এনওয়াইপিডির কমিশনার জেসিকা টিশসহ বহু কর্মকর্তা, সহকর্মী, স্বজন ও প্রবাসী বাংলাদেশিরা। জানাজা ঘিরে পুরো এলাকায় কঠোর নিরাপত্তাব্যবস্থা ছিল, বসানো হয় ব্যারিকেড।
জানাজার আগে এনওয়াইপিডির পক্ষ থেকে দিদারুলকে মরণোত্তর পদোন্নতি দিয়ে ‘ডিটেকটিভ ফার্স্ট গ্রেড’ পদে উন্নীত করা হয়। এনওয়াইপিডির এক ফেসবুক পোস্টে বলা হয়, ‘নগর রক্ষায় নিজের সর্বস্ব দিয়ে গেছেন দিদারুল ইসলাম।
তার এই আত্মত্যাগ ও সেবা স্মরণে তাকে ডিটেকটিভ ফার্স্ট গ্রেডে পদোন্নতি দিয়েছেন কমিশনার জেসিকা টিশ।’
এ সময় জেসিকা টিশ বলেন, ‘দিদারুল ছিলেন এক সত্যিকারের নায়ক। তিনি নায়কোচিতভাবেই আমাদের ছেড়ে গেছেন। শুধু নিউ ইয়র্ক নয়, বাংলাদেশও গর্ব করতে পারে তার ওপর।
তিনি আরো বলেন, ‘দিদারুল দুই শহরের সন্তান। বাংলাদেশে তার শৈশব, আর নিউ ইয়র্কে গড়ে তোলা সেবামূলক জীবন। ২০ বছর বয়সে দিদারুল নিউ ইয়র্কে আসেন উন্নত জীবনের প্রত্যাশায়। নিজের চেষ্টা ও নিষ্ঠায় তিনি তা অর্জন করেছিলেন।’
দিদারুলের পুলিশ ক্যারিয়ার শুরু হয় স্কুল সেফটি এজেন্ট হিসেবে।
পরে তিনি নিয়মিত পেট্রল অফিসার হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। সহকর্মীদের ভাষ্য, তিনি ছিলেন নিষ্ঠাবান, নির্ভীক ও সবার প্রিয় একজন পুলিশ কর্মকর্তা।
কিছুদিন পরই মাত্র ৩৬ বছর বয়সে প্রাণ হারানো দিদারুলের তৃতীয় সন্তানের জন্ম হওয়ার কথা ছিল। মৃত্যুকালে তিনি রেখে গেছেন তার অন্তঃসত্ত্বা স্ত্রী, দুই সন্তান ও বহু গুণগ্রাহীকে।
সূত্র : সিবিএস নিউজ