যুক্তরাষ্ট্রে অবৈধ অভিবাসন

তিন শিশুর বিতাড়িত মায়েরা মানসিক আঘাতে ভুগছেন

ডেস্ক রিপোর্ট
  ২৯ এপ্রিল ২০২৫, ১১:৫৯

যুক্তরাষ্ট্রে জন্ম নেওয়া তিনটি শিশুর মায়েদের দেশটি থেকে বিতাড়িত করার কারণে তাঁরা মানসিক আঘাতের শিকার হয়েছেন বলে জানিয়েছেন তাঁদের আইনজীবী। সোমবার তিনি এ কথা জানান। বৈধ কাগজপত্র না থাকায় তাঁদের নিজ দেশ হন্ডুরাসে ফেরত পাঠানো হয়েছে।
গত সপ্তাহে যুক্তরাষ্ট্রের দক্ষিণাঞ্চলীয় লুইজিয়ানা অঙ্গরাজ্য থেকে ওই মায়েদের বিতাড়িত করা হয়। এই নারীদের স্বামীরা যুক্তরাষ্ট্রে বসবাস করেন। অভিবাসন ইস্যুতে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের কঠোর নীতিমালা বাস্তবায়নের অংশ হিসেবে এ ঘটনা ঘটেছে।
আমেরিকান সিভিল লিবার্টিজ ইউনিয়ন (এসিএলইউ) ও ন্যাশনাল ইমিগ্রেশন প্রজেক্ট (এনআইপি) বলেছে, জেনি লোপেজ ভিয়েলা নামের এক নারীকে গত শুক্রবার তাঁর দুই বছর বয়সী কন্যাসহ যুক্তরাষ্ট্র থেকে বের করে দেওয়া হয়। আরেক নারীকে তাঁর চার ও সাত বছর বয়সী সন্তানসহ নিজ দেশে ফেরত পাঠানো হয়। তবে তাঁর নাম জানা যায়নি।
এসিএলইউ জানায়, চার বছর বয়সী শিশুটি ক্যানসারে আক্রান্ত। তাকে কোনো ওষুধ বা চিকিৎসা ছাড়াই দেশে ফেরত পাঠানো হয়েছে।
এসিএলইউ জানায়, চার বছর বয়সী শিশুটি ক্যানসারে আক্রান্ত। তাকে কোনো ওষুধ বা চিকিৎসা ছাড়াই দেশে ফেরত পাঠানো হয়েছে।
জেনি লোপেজ অন্তঃসত্ত্বা। তাঁর ১১ বছর বয়সী আরেকটি মেয়ে আছে। তার জন্ম হন্ডুরাসে। যে উড়োজাহাজে লোপেজকে ফেরত পাঠানো হয়েছে, সেটিতে ওই মেয়েটিও ছিল।
ওই তিন শিশুর মাকে নিজ দেশে ফেরত পাঠানো হলেও তাদের বাবারা যুক্তরাষ্ট্রেই আছেন।
লোপেজের আইনজীবী মিচ গঞ্জালেজ বলেন, ‘উভয় পরিবার অত্যন্ত কঠিন সময় পার করছে। এ পরিস্থিতি থেকে কীভাবে বের হবে ও করণীয় কী হবে, সেটিই ভাবছে পরিবারগুলো।’
এনআইপির অভিবাসনবিষয়ক অধিকারকর্মী মিশেল মেনডেজ এ পরিস্থিতিকে ‘অত্যন্ত মর্মান্তিক’ বলে উল্লেখ করে বলেন, পরিবার দুটি ‘গভীর মানসিক আঘাতের’ মধ্য দিয়ে যাচ্ছে।
 হোয়াইট হাউসে সাংবাদিকদের উদ্দেশে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের অভিবাসনবিষয়ক উপদেষ্টা টম হোম্যান জানান, শিশুগুলোকে জোরপূর্বক বিতাড়িত করা হয়নি; বরং মায়েরা তাঁদের সন্তানদের সঙ্গে নিয়ে দেশে ফেরার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।
টম হোম্যান আরও বলেন, ‘আপনি যদি অবৈধভাবে যুক্তরাষ্ট্রে থেকে মার্কিন নাগরিক সন্তান জন্ম দেন, তাহলে আপনি নিজেই এই পরিস্থিতি সৃষ্টি করলেন। এটা একান্তই মা–বাবার সিদ্ধান্ত ছিল...মায়েরা তাঁদের সন্তানদের নিয়ে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।’
হন্ডুরাসের ভাইস চ্যান্সেলর আন্তোনিও গার্সিয়া এএফপিকে জানান, সরকার বিষয়টি তদন্ত করছে। তিনি বলেন, ‘প্রেসিডেন্ট সিওমারা কাস্ত্রো এ বিচ্ছেদ পরিস্থিতি নিয়ে উদ্বিগ্ন। আমরা চাই, এ ঘটনায় যথাযথ আইনি প্রক্রিয়া অনুসরণ করা হোক।’