নিউইয়র্কসহ স্যাংকচুয়ারী সিটির বিরুদ্ধে কঠোর হচ্ছে ডোনাল্ড ট্রাম্প

ডেস্ক রিপোর্ট
  ২৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ১৯:০২

ডোনাল্ড ট্রাম্প প্রশাসনের অবৈধ অভিবাসী বিরোধী ধরপাকড়ের অভিযানের ১ মাস পেরিয়ে গেছে। প্রথমে যে পরিমাণ ধরপাকড় ছিলো গত দুই সপ্তাহে তুলনামূলক গ্রেপ্তারের হার কিছুটা কম। তবে অবৈধ অপরাধী ধরপাকড়ে কঠোর অবস্থানে রয়েছেন জানিয়ে টম হোম্যান বলেন, অবৈধ অপরাধী অভিবাসীদের বিতাড়ন শেষ না করা পর্যন্ত থামবোনা। অবৈধ অভিবাসী প্রতিবন্ধক আইনের বিরুদ্ধে কঠোর পদক্ষে নিতে যাচ্ছে ফেডারেল কর্তৃপক্ষ।
ফক্স নিউজ, এনওয়াই পোস্ট ও সিবিএস নিউজসহ একাধিক গণমাধ্যমের প্রকাশিত প্রতিবেদনে জানা গেছে, স্যাংচুয়ারী সিটির গ্রীন লাইট আইনের বিরুদ্ধে মামলা দায়েরের ঘোষণা দিয়েছেন এটর্নী জেনারেল পম বন্ডী। এ আইন আমেরিকানদের জন্য ‘রেড ফ্লাগ’ বলে দাবি করেছেন পম বন্ডীসহ একাধিক বিশ্লেষক। গ্রীন লাইট আইন বাতিল করে অবৈধদের ড্রাইভিং লাইসেন্স প্রদানের সুযোগ বন্ধ করার পদক্ষেপ নেওয়ার পরিকল্পনা ট্রাম্প প্রশাসনের। আইস এর অভিযানে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টিকারী আইন বাতিলে কার্যকরী কঠোর পদক্ষেপও নেয়া হচ্ছে। তবে বর্তমানে অবৈধ অভিবাসী গ্রেপ্তারে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প ক্ষুদ্ধ ও অসুন্তষ্ট রয়েছেন বলে জানিয়েছে একাধিক গণমাধ্যম।
টম হোম্যান ফক্স নিউজে বলেন, এখন থেকে আইস এর গ্রেপ্তারের সংখ্যা ও অভিযানের বিষয়টি প্রতিদিন কিংবা সাপ্তাহিকভাবে দেয়া হবে না। প্রতি মাসে অভিযান ও গ্রেপ্তারের পরিসংখ্যান প্রকাশ করা হবে। কয়েকটি অভিযানের নথি আগে ফাঁস হওয়ায় আমাদের অভিযানে আইন প্রয়োগকারীরা গ্যাং সদস্যসহ কুখ্যাত অপরাধীদের ধরতে বিপত্তিতে পড়ে। নথি ফাঁসের সাথে জড়িতকে চিহ্নিত করা হয়েছে। ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে। অপরাধীদের ধরতে অভিযান চালানো হচ্ছে। যারা এ অভিযানে বাধা প্রদান করবে তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেয়া হবে। সকল অপরাধী ও অবৈধ অভিবাসীদের বিতাড়ন না করা পর্যন্ত আমরা থামবোনা।  
এটির্নী জেনারেল পম বন্ডিসহ একাধিক বিশ্লষকের বরাত দিয়ে রয়টার্স ও ফক্স নিউজ জানিয়েছে, ‘‘গ্রীন লাইট আইন আমেরিকানদের জন্য ‘রেড ফ্লাগ’, এটি জাতীয় নিরাপত্তার জন্য হুমকি। এ আইনের আওতায় অবৈধ অভিবাসীরা ডিমএমভির মাধ্যমে ড্রাইভিং লাইসেন্স পায়। আর এ আইন ডিমএমভির ড্রাইভারদের তথ্য ফেডারেলকে দিতে বাধা প্রদান করে। তাই এ আইনের বিরুদ্ধে মামলা সহ কঠোর আইনী ব্যবস্থা নেয়া ঘোষণা দিয়েছেন এটির্নী জেনারেল পম বন্ডি।
এদিকে ডোনাল্ড ট্রাম্প যুক্তরাষ্ট্রে জন্মগ্রহণকারী অবৈধ অভিবাসীদের সন্তানদের সুযোগ সুবিধা, চিকিৎসা সেবা, শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের সহায়তা বন্ধসহ স্যাংক্চুয়ারী সিটিগুলোর সকল অবৈধদের সকল সহায়তা বন্ধের ঘোষণাসহ ব্যাপক পদক্ষেপ নিয়েছেন।
ট্রাম্প প্রশাসনের পক্ষে অবৈধ অভিবাসী বিতাড়নে নিয়োজিত একাধিক কর্মকর্তা হুশিয়ারি দিয়ে বলেছেন, স্যাংকচুয়ারি সিটির আইনের সুযোগ নিয়ে ফেডারেলে কার্যক্রমে বাধা প্রদানকারী সকল ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে পিছপা হবেনা কর্তৃপক্ষ। এরই মধ্যে স্যাংকচুয়ারি সিটিগুলোর বিরুদ্ধে একাধিক মামলা দায়ের ও প্রস্তুতি নিয়েছেন ট্রাম্প প্রশাসন।