দুই প্রবাসীসহ যুবাদের সাফ মিশনে বাংলাদেশ

স্পোর্টস ডেস্ক
  ০৫ মে ২০২৫, ২২:৫৫

দেশের ফুটবলে এখন আলোচনায় প্রবাসী। ২০১৩ সালে ডেনমার্ক প্রবাসী জামাল ভূঁইয়ার জাতীয় দলে অভিষেকের পর ফিনল্যান্ড প্রবাসী তারিক কাজীসহ আরো কয়েকজনের লাল-সবুজ জার্সিতে অভিষেক হলেও হামজা আসার পর প্রবাসী অন্তর্ভূক্তির পালে হাওয়া লেগেছে। সাফ অনূর্ধ্ব-১৯ চ্যাম্পিয়নশিপের অনুশীলনে তিনজন প্রবাসী ছিলেন।
চূড়ান্ত দলে জায়গা পেয়েছেন দুইজন। ইতালি প্রবাসী আবদুল কাদির ও যুক্তরাষ্ট্র প্রবাসী ফারজাদ আফতাবকে নিয়ে ঘোষণা করা হয়েছে অনূর্ধ্ব-১৯ দল। দলে জায়গা হয়নি ইংল্যান্ড প্রবাসী এলমান মতিনের। আগামীকাল (মঙ্গলবার) সকাল ৯টায় যুবদল নিয়ে ভারত যাচ্ছেন কোচ গোলাম রব্বানী ছোটন।
সোমবার বাফুফে ভবনে আয়োজিত হয় এক সংবাদ সম্মেলনে প্রধান কোচ গোলাম রাব্বানী ছোটন দলের প্রস্তুতি ও লক্ষ্য নিয়ে কথা বলেছেন। উপস্থিত ছিলেন দলের অধিনায়ক নাজমুল হুদা ফয়সাল, ম্যানেজার জালাল উদ্দিন এবং বাফুফে সহসভাপতি ও ডেভেলপমেন্ট কমিটির চেয়ারম্যান মো. নাসের শাহরিয়ার জাহেদী।
দুই প্রবাসী প্রসঙ্গে অধিনায়ক নাজমুল হুদা বলেন, ‘আমাদের মধ্যে বোঝাপড়া দারুণ। তাছাড়া আমরা সবাই বাংলাদেশি। আপনারা যদি ভারত-বাংলাদেশ সিনিয়র দলের খেলা দেখেন, হামজা চৌধুরী ভাই আসাতে দলের খেলায় অনেক পরিবর্তন হয়েছে। আমাদের দলেও দুজন প্রবাসী ফুটবলার আছেন, ফারজাদ এবং আব্দুল কাদির। আশা করি ওরা টিমের শক্তি বাড়াবে। স্কোয়াড যারা রয়েছে সবাই আমরা বাংলাদেশকে প্রতিনিধিত্ব করতে যাচ্ছি। আমাদের সবার লক্ষ্য থাকবে দেশকে এমনভাবে প্রতিনিধিত্ব করব, যেন দেশের প্রত্যেকের মুখে হাসি ফোটাতে পারি।’
নাসের শাহরিয়ার জাহেদি বলেন, ‘এটা একটা ভালো সূচনা। প্রবাসীরা যেভাবে দেশের খেলোয়াড়দের সঙ্গে মিলেমিশে যান এটা খুবই ভালো। যশোরের অনুশীলনে বা বিকেএসপির অনুশীলন দেখে আমার মনে হয়নি এখানে কেউ প্রবাসী, কেউ স্থানীয়। প্রবাসী এবং স্থানীয়, এই ব্যাপারটা আমরা যত দ্রুত ভুলে যেতে পারব তত তাড়াতাড়ি আমরা উন্নতি করতে পারব। যারা বাইরে থেকে আসছেন তাদের আমরা উৎসাহিত করব এবং স্বাগত জানাব। আমার মনে হয় খেলার মাঠে প্রবাসী এবং স্থানীয়রা একাত্মা এবং এক টিমে পরিণত হয়েছে, এটা ভালো লক্ষণ।’
৯ মে ভারতের অরুনাচলে শুরু হবে যুবাদের সাফ চ্যাম্পিয়নশিপ। ওই দিনই বাংলাদেশের প্রথম ম্যাচ। প্রতিযোগিতা টার্ফে হবে বলে বাংলাদেশের যুবাদের অনুশীলন শেষ কয়দিন হয়েছে বিকেএসপিতে। তার আগে ক্যাম্প হয়েছিল ঢাকার ধানমন্ডি ক্লাব মাঠে ও যশোরের শামস-উল-হুদা একাডেমিতে।
কোচ গোলাম রাব্বানী দলের প্রস্তুতি নিয়ে বলেছেন, ‘আমরা প্রথমে ৩৫ জনকে সিলেক্ট করেছিলাম। সেখান থেকে ৩১ জন নিয়ে যশোরে নিরবচ্ছিন্ন অনুশীলন করি। সেখানে সব ধরনের সুযোগ সুবিধা ছিল। আমি মনে করি আমাদের অনুশীলন ভালো হয়েছে। এই টুর্নামেন্টের জন্য আমরা ২১ দিন অনুশীলন করেছি, ছেলেরাও অনুশীলনটা উপভোগ করেছে। ছেলেরা পুরোপুরি সুস্থ আছে, আমাদের দেশের মানুষের প্রত্যাশা যেন আমরা চ্যাম্পিয়ন হয়, আশা করি ছেলেরা সেই প্রত্যাশা পুরণ করতে পারব।’

গ্রুপ- ‘এ’: বাংলাদেশ, ভুটান, মালদ্বীপ
গ্রুপ ‘বি’: ভারত, নেপাল, শ্রীলঙ্কা।

বাংলাদেশের ম্যাচগুলো

০৯.০৫.২৫

বাংলাদেশ-মালদ্বীপ

বিকাল ৪টা

গোল্ডেন জুবিলি স্টেডিয়াম

১১.০৫.২৫

বাংলাদেশ-ভুটান

বিকাল ৪টা

গোল্ডেন জুবিলি স্টেডিয়াম

 সেমিফাইনাল

১৬.০৫.২৫

গ্রুপ ‘এ’ চ্যাম্পিয়নন বনাম গ্রুপ ‘বি’ রানারআপ

বিকাল ৩টা ৩০ মিনিট

গোল্ডেন জুবিলি স্টেডিয়াম

১৬.০৫.২৫

গ্রুপ বি চ্যাম্পিয়ন বনাম গ্রুপ এ রানারআপ

সন্ধ্যা ৭টা ৩০ মিনিট

গোল্ডেন জুবিলি স্টেডিয়াম

 ফাইনাল

১৮.০৫.২৫

সন্ধ্যা ৭টা

গোল্ডেন জুবিলি স্টেডিয়াম