আগামী ২৯, ৩০ ও ৩১ আগস্ট, লেবার ডে উইক্যান্ডে নিউইয়র্কের পর্যটক আকৃষ্ট নায়াগ্রায় অনুষ্ঠিত হচ্ছে ৩৯তম ফোবানা সম্মেলন ২০২৫। এ সম্মেলন সফল করতে ফোবানা স্টিয়ারিং কমিটি নানা পদেক্ষপ গ্রহণ করেছে। এ পদক্ষেপের অংশ হিসেবে গত ৩০ জুন, সোমবার ফোবানার স্টিয়ারিং কমিটির প্রতিনিধি দল সম্মেলনের ভেন্যু পরিদর্শন এবং বাফেলো ও নায়াগ্রাবাসীর সঙ্গে মতবিনিময় করে।
২৭৯ গিলফোর্ড স্ট্রিট, বাফেলোতে আয়োজিত এ মতবিনিময় সভায় সভাপতিত্ব করেন ফোবানার সাবেক চেয়ারম্যান ও ফোবানা সম্মেলন ২০২৫ এর চেয়ারম্যান এডমিন গিয়াস আহমেদ। স্বাগত বক্তব্য রাখেন ফোবানার সাবেক চেয়ারম্যান মোহাম্মদ হোসেন খান। বক্তব্য রাখেন সাবেক চেয়ারম্যান আলী ইমাম শিকদার, স্টিয়ারিং কমিটির এক্সিকিউটিভ সেক্রেটারি কাজী সাখাওয়াত হোসেন আজম, স্টিয়ারিং কমিটির মেম্বার ফরহাদ খন্দকার।
স্টিয়ারিং কমিটির মেম্বার সাংবাদিক শাহাব উদ্দিন সাগর মতবিনিময় সভা পরিচালনা করেন। এসময় তাকে সহযোগিতা করেন ব্যবসায়ী সোহেল হাওলাদার। অন্যদের মাঝে বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ সোসাইটির সিনিয়র সহ সভাপতি মহিউদ্দিন দেওয়ান, বাংলাদেশ সোসাইটির সাবেক সহ সভাপতি আব্বাস উদ্দিন দুলাল, মির্জা মামুন, জসিম উদ্দিন, প্রমোটার এনামুল হক, আবদুল লতিফ, এটর্নি রাকিব, এডভোকেট শহীদুল ইসলাম প্রমুখ। বক্তারা নায়াগ্রায় অনুষ্ঠিতব্য ফোবানা সম্মেলন সফল করতে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করার উপর গুরুত্বারোপ করেন।
এদিকে প্রতিনিধি দল গত ১ জুলাই, মঙ্গলবার দুপুরে সম্মেলনের ভ্যানু নায়াগ্রার শেরাটন হোটেল পরিদর্শন করে।
চলতি বছরের ফেডারেশন অব বাংলাদেশি এসোসিয়েশনস অব নর্থ আমেরিকা-‘ফোবানা’ এর ৩৯তম সম্মেলন আগামী ২৯-৩১ আগষ্ট লেবার ডে ইউকেন্ডে নায়াগ্রার শেরাটন হোটেলের নান্দনিক ভেন্যুতে অনুষ্ঠিত হবে। এবারের সম্মেলনের প্রতিপাদ্য নির্ধারণ করা হয়েছে ‘প্রবাসী নতুন প্রজন্মই হোক আগামী ফোবানার শক্তি’।
ফোবানা’ (ফেডারেশন অব বাংলাদেশি এসোসিয়েশনস অব নর্থ আমেরিকা) প্রবাসের একটি অত্যন্ত মর্যাদাপূর্ণ সংগঠন। ফোবানা উত্তর আমেরিকায় বসবাসরত বাংলাদেশি প্রবাসীদের বৃহত্তম একটি সংগঠন। এটি মূলত: যুক্তরাষ্ট্রের বিভিন্ন রাজ্য ও কানাডা থেকে পরিচালিত বাংলাদেশি সংগঠনগুলোর একটি সম্মিলিত প্ল্যাটফর্ম। ১৯৮৭ সালে ওয়াশিংটন ডিসিতে প্রথম সম্মেলন আয়োজনের মধ্য দিয়ে ফোবানার যাত্রা শুরু হয়।
ফোবানার মূল লক্ষ্য যুক্তরাষ্ট্রে বসবাসরত বাংলাদেশিদের মধ্যে ঐক্য ও সংহতি বৃদ্ধি, বাংলাদেশি সংস্কৃতি ও ঐতিহ্যকে তুলে ধরা এবং এর প্রচার ও প্রসার, বিভিন্ন সামাজিক, সাংস্কৃতিক এবং শিক্ষামূলক কার্যক্রমের মাধ্যমে প্রবাসীদের জীবনযাত্রার মান উন্নয়ন, যুক্তরাষ্ট্র ও বাংলাদেশের মধ্যে নানা ক্ষেত্রে সেতুবন্ধন রচনা করা।