বিএসসি ইঞ্জিনিয়ারিং ডিগ্রি ছাড়া যাতে কেউ ‘ইঞ্জিনিয়ার’ পদবি ব্যবহার করতে না পারে, সেজন্য আইন পাস করে গেজেট প্রকাশের দাবি জানিয়েছেন বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) শিক্ষার্থীরা।
সোমবার (৫ মে) বিকেলে তিন দফা দাবি নিয়ে প্রধান উপদেষ্টার বাসভবন অভিমুখে স্মারকলিপি দিতে যান তারা। পরে রমনা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) তাদের স্মারকলিপি নেন।
স্মারকলিপিতে শিক্ষার্থীরা ইঞ্জিনিয়ারিং পদবি ব্যবহারের বৈষম্য করা হচ্ছে দাবি করে তার চিত্র তুলে ধরেন। তারা বলেন, নবম গ্রেডের সহকারী প্রকৌশলী পদে অভ্যন্তরীণ কোটার মাধ্যমে ডিপ্লোমাধারী উপ-সহকারী প্রকৌশলীরা নিয়মের বাইরে অতিরিক্ত পদোন্নতি পেলেও সহকারী প্রকৌশলী পদের নিয়োগ পরীক্ষায় বিএসসি প্রকৌশলীদের প্রবেশের পদ সংকুচিত হচ্ছে।
‘এমনকি নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি দেওয়ার পরও সেই বিজ্ঞপ্তি বাতিল করে ডিপ্লোমাধারী উপ-সহকারী প্রকৌশলীকে পদোন্নতি দেওয়া হয়েছে। অনেক প্রতিষ্ঠানে পদোন্নতির হার শূন্য পদের ৩৩ শতাংশ উল্লেখ থাকলেও তা লঙ্ঘন করে ৪০ শতাংশ থেকে শতভাগ পর্যন্ত পদোন্নতি দেওয়া হচ্ছে। ফলে নবম গ্রেডের প্রকৃত এন্ট্রি লেভেল পদগুলো কমে যাচ্ছে এবং বিএসসি প্রকৌশলীদের প্রবেশাধিকার বাধাগ্রস্ত হচ্ছে, যা সংবিধানের সুযোগের সমতা নীতির পরিপন্থি।’
বুয়েট শিক্ষার্থীদের তিন দাবি
>> ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের নবম গ্রেড বা সহকারী প্রকৌশলী বা সমমান পদে প্রবেশের জন্য সবাইকে পরীক্ষা দিয়ে উত্তীর্ণ হতে হবে এবং বিএসসি ডিগ্রিধারী হতে হবে। কোটার মাধ্যমে কোনো পদোন্নতি নয়, এমনকি অন্য নামে সমমান পদ তৈরি করেও পদোন্নতি দেওয়া যাবে না।
>> টেকনিক্যাল দশম গ্রেড বা উপ-সহকারী প্রকৌশলী বা সমমান পদ সবার জন্য উন্মুক্ত করতে হবে। অর্থাৎ ডিপ্লোমা ও বিএসসি উভয় ডিগ্রিধারীদের পরীক্ষার সুযোগ দিতে হবে।
>> বিএসসি ইঞ্জিনিয়ারিং ডিগ্রি ছাড়া কেউ ইঞ্জিনিয়ার পদবি ব্যবহার করতে পারবে না—এ মর্মে আইন পাস করে গেজেট প্রকাশ করতে হবে।