চলে গেলেন বিএনপি নেতা শাহ মোয়াজ্জেম

নয়াপল্টনে দলীয় কার্যালয়ের সামনে জানাজা অনুষ্ঠিত
নিজস্ব সংবাদদাতা
  ১৫ সেপ্টেম্বর ২০২২, ১৩:২৬

বিএনপির ভাইস-চেয়ারম্যান বর্ষীয়ান রাজনীতিবিদ শাহ মোয়াজ্জেম হোসেন মারা গেছেন (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)। বুধবার (১৪ সেপ্টেম্বর) রাত ৯টা ৩০ মিনিটে গুলশানে নিজ বাসায় ৮৩ বছর বয়সে মৃত্যুবরণ করেন তিনি।
প্রবীণ রাজনীতিক শাহ মোয়াজ্জেম হোসেন ১৯৩৯ সালের ১০ জানুয়ারি মুন্সীগঞ্জ জেলার দোগাছি গ্রামে এক সম্ভ্রান্ত মুসলিম পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। তার বাবা ছিলেন একজন স্কুলশিক্ষক।


১৯৭০ ও ১৯৭৩ সালের নির্বাচনে সবচেয়ে বেশি ভোট পেয়ে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন প্রবীণ এই রাজনীতিক। স্বাধীনতার পর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের পার্লামেন্টে প্রথমবারের মতো চিফ হুইপ নির্বাচিত হন। ১৯৭৩ সালের নির্বাচনের পর দ্বিতীয়বারের মতো চিফ হুইপ নির্বাচিত হন তিনি।
রাজনৈতিক পটপরিবর্তনে আশির দশকে শাহ মোয়াজেম হোসেন জাতীয় পার্টির মহাসচিব, এরশাদ সরকারের মন্ত্রী, সংসদ উপনেতা ও উপ-প্রধানমন্ত্রী হন।
চারদলীয় জোট সরকারের শেষ সময়ে তিনি বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল-বিএনপিতে যোগ দেন। সর্বশেষ তিনি বিএনপির ভাইস-চেয়ারম্যানের দায়িত্ব পালন করছিলেন।
শাহ মোয়াজ্জেম হোসেনের জানাজা অনুষ্ঠিত
নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনের সড়কে অনুষ্ঠিত হয়েছে বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান শাহ মোয়াজ্জেম হোসেনের জানাজা।
বৃহস্পতিবার দুপুর পৌনে ১২টায় অনুষ্ঠিত হয় জানাজা। এর আগে শাহ মোয়াজ্জেমের মরদেহ বিএনপির পতাকা দিয়ে ঢেকে দেওয়া হয়। জানাজা ও বিশেষ মোনাজাত পরিচালনা করেন জাতীয়তাবাদী ওলামা দলের আহ্বায়ক প্রিন্সিপাল শাহ নেছারুল হক।
জানাজা শেষে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায়ের নেতৃত্বে শ্রদ্ধাঞ্জলি জানানো হয়। জানাজার আগে তার দীর্ঘদিনের রাজনৈতিক সহকর্মীরা তার বর্ণাঢ্য জীবনের স্মৃতিচারণ করেন। এ সময় বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশারফ হোসেন বলেন, বর্ণাঢ্য প্রবীণ রাজনীতিবিদ শাহ মোয়াজ্জেমকে হারিয়ে আমরা শোকাহত। তিনি একজন সংগ্রামী নেতা ছিলেন। ছাত্রজীবনে স্বাধিকার আন্দোলনে বিশাল ভূমিকা রেখেছেন তিনি। আমি তখন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র। তার আন্দোলন প্রত্যক্ষ করেছি।