
বঙ্গোপসাগরে সৃষ্টি হওয়া গভীর নিম্নচাপ ঘনীভূত হয়ে ঘূর্ণিঝড় ‘মন্থা’য় পরিণত হয়েছে। ঘূর্ণিঝড়টি আরো উত্তরে অগ্রসর হয়ে প্রবল ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হতে পারে। এ কারণে চট্টগ্রাম অঞ্চলে অস্বাভাবিক তাপমাত্রা পরিলক্ষিত হচ্ছে। প্রচণ্ড গরমে অস্থির হয়ে উঠেছে সাধারণ শ্রমজীবী মানুষ।
আবহাওয়া দপ্তরের সূত্র অনুযায়ী, আজ বুধবার চট্টগ্রাম ও তার আশপাশের এলাকায় তাপমাত্রা ৩৫ ডিগ্রি, সর্বনিম্ন ২৬ সেলসিয়াস নির্দেশ করা হয়েছে। তবে বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট নিম্নচাপটি ঘূর্ণিঝড়ে রূপান্তরিত হলেও বাংলাদেশে আঘাত হানার সম্ভাবনা নেই। ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে খুলনা অঞ্চলে বৃষ্টি হওয়ার সম্ভাবনার কথা জানিয়েছেন আবহাওয়া দপ্তর। চট্টগ্রাম আবহাওয়া দপ্তর থেকে আগামী পাঁচ দিনের তাপমাত্রা দৈনিক পূর্বাভাসে দেখা যাচ্ছে, ২৭ অক্টোবর থেকে টানা পাঁচ দিন পর্যন্ত ৩৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা চলমান থাকবে।
ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাব কমতে থাকায় ১ নভেম্বর শনিবার থেকে তাপমাত্রা ধীরে ধীরে স্বাভাবিক হতে শুরু করবে বলে আবহাওয়া দপ্তরের পূর্বাভাসে পরিলক্ষিত হচ্ছে। চট্টগ্রামের নাগরিকদের মধ্যে যারা শ্বাসকষ্ট বা গলায় অস্বস্তির মতো লক্ষণগুলো অনুভব করেন, তাদেরকে বাইরে সময় বেশি না কাটানোর পরামর্শ দিয়েছে আবহাওয়া দপ্তর।
চট্টগ্রামের পতেঙ্গা আবহাওয়া দপ্তর সূত্র জানিয়েছে, ঘূর্ণিঝড় ‘মোন্থা’ নিয়ে বাংলাদেশ আবহাওয়া দপ্তরের নির্দিষ্ট কোনো সংকেত এখনো আনুষ্ঠানিকভাবে জানানো হয়নি। তবে ঘূর্ণিঝড়টি গভীর নিম্নচাপ থেকে প্রবল ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হওয়ায় সমুদ্র বন্দরগুলোকে সতর্ক সংকেত জারি করতে বলা হয়েছে।
ঘূর্ণিঝড়টি উত্তর ও উত্তর-পশ্চিম দিকে অগ্রসর হচ্ছে এবং বাংলাদেশের উপকূলীয় অঞ্চলে এর প্রভাব পড়ার আশঙ্কা রয়েছে।
বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদপ্তরের তথ্য অনুযায়ী, ঘূর্ণিঝড়টি বাংলাদেশের উপকূলীয় অঞ্চলে আঘাত হানার কথা উল্লেখ করা হলেও তা উত্তর ও উত্তর-পশ্চিম দিকে অগ্রসর হচ্ছে। যা ভারতে দিকে প্রবাহিত হচ্ছে বলে সংশ্লিষ্ট সূত্র জানিয়েছে।
চট্টগ্রামের পতেঙ্গা আবহাওয়া দপ্তরের আবহাওয়াবিদ বসির আহমদ বলেন, বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট নিম্নচাপটি ক্রমান্বয়ে ঘূর্ণিঝড়ে রূপ নেওয়ায় এর প্রভাবে বঙ্গোপসাগর সংলগ্ন এলাকা ও চট্টগ্রাম অঞ্চলে তাপমাত্রার উষ্ণতা স্বাভাবিকের চাইতে বাড়তি ইঙ্গিত দিচ্ছে। বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট নিম্নচাপটি ঘূর্ণিঝড়ে রূপান্তরিত হলেও বাংলাদেশে আঘাত হানার সম্ভাবনা নেই।