
সরকারি চাকরিজীবীদের জন্য নতুন বেতন কাঠামো নির্ধারণে গঠিত জাতীয় বেতন কমিশন ইতোমধ্যে কাজ শুরু করেছে। আগামী ছয় মাসের মধ্যে নতুন স্কেলের প্রস্তাব দেওয়ার কথা রয়েছে কমিশনের। স্বাভাবিকভাবেই এখন সবার আগ্রহ— বেতন কতটা বাড়বে।
কমিশনের এক সদস্য জানিয়েছেন, ১০ বছর পর এই কমিশন গঠিত হয়েছে। এ সময়ে মূল্যস্ফীতি ব্যাপকভাবে বেড়েছে। তাই মূল্যস্ফীতি বিবেচনায় রেখেই সুপারিশ করা হবে। বর্তমানে সর্বনিম্ন থেকে সর্বোচ্চ বেতনের অনুপাত (১২:১, ১০:১, ৮:১) নিয়ে যে আলোচনা চলছে, সেটিও কমিশনের নজরে আছে। এগুলো বিবেচনা করেই বর্তমানে থাকা ২০টি গ্রেড ভেঙে গ্রেড কমিয়ে বেতনের অনুপাতে সামঞ্জস্য করার চিন্তা রয়েছে কমিশনের।
তিনি ইঙ্গিত দেন, নতুন স্কেলে মূল বেতন দ্বিগুণ হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। এমন হলে ১ম গ্রেডে সর্বোচ্চ বেতন দাঁড়াবে ১ লাখ ৫৬ হাজার টাকা এবং ২০তম গ্রেডে সর্বনিম্ন হবে ১৬ হাজার ৫০০ টাকা।
এদিকে ৯ম জাতীয় বেতন স্কেল গেজেটের মাধ্যমে বাস্তবায়ন করে যেতে চায় অন্তর্বর্তী সরকার। এজন্য তারা পরবর্তী রাজনৈতিক সরকারের জন্য অপেক্ষা করবে না বলে স্পষ্ট জানিয়েছেন অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ। সম্প্রতি তিনি বলেন, নতুন পে স্কেল ২০২৬ সালের শুরু (জানুয়ারি/মার্চ/এপ্রিল) থেকেই কার্যকর হতে পারে। এর জন্য চলতি অর্থবছরের সংশোধিত বাজেটেই প্রয়োজনীয় অর্থ বরাদ্দ রাখা হবে।
উল্লেখ্য, সর্বশেষ ২০১৫ সালে নতুন পে স্কেল ঘোষণা করা হয়েছিল। তখন ১ম গ্রেডের মূল বেতন ১৯৫ শতাংশ বাড়ানো হয়— ৪০ হাজার থেকে বেড়ে দাঁড়ায় ৭৮ হাজার টাকা। আর ২০তম গ্রেডে সর্বনিম্ন বেতন ২০১ শতাংশ বৃদ্ধি করে ৪ হাজার থেকে করা হয়েছিল ৮ হাজার ২৫০ টাকা।