অবশেষে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি) নগর ভবনের তালা খুলে দিয়েছেন বিএনপি নেতা ইশরাক হোসেনের সমর্থকরা। তবে মেয়র সেল ও প্রকৌশল বিভাগে তালা ঝুলানো আছে।
সোমবার (২৩ জুন) সকালে অফিস সময় শুরুর আগে তালা খুলে দেন তারা।
বিএনপি নেতা ইশরাক হোসেনকে মেয়র পদে শপথকে কেন্দ্র করে ৩৯ দিন নগর ভবন তালা দিয়ে রেখেছিলেন তার সমর্থকরা। আজ অফিস শুরু হওয়ায় নাগরিক সেবাও চালু হয়েছে। তবে ডিএসসিসির প্রকৌশল বিভাগের কর্মকর্তা এবং প্রশাসকের দপ্তর এখনো তালা লাগিয়ে রেখেছেন ইশরাকের সমর্থকরা।
দুপুরে বিএনপি নেতা ইশরাক হোসেন সাংবাদিকদের জানান, নগর ভবনের তালা খুলতে সাহায্য করেছে শ্রমিক দল। তারা দাবি আদায়ে প্রতিবাদী আন্দোলনও সীমিত আকারে এক পাশে করেছে, যাতে নাগরিকদের বিরক্তির কারণ না হয়। একইভাবে ডিএসসিসির আঞ্চলিক অফিসগুলোতে নাগরিক সেবা কার্যক্রম চলছে।
ঢাকাবাসীর ব্যানারে করা ওই আন্দোলনের সমন্বয়ক সাবেক সচিব মশিউর রহমান। তিনি বলেন, আমরা আন্দোলনরত ঢাকাবাসীকে স্থানীয় সরকার উপদেষ্টার সব ষড়যন্ত্র মোকাবিলার আহ্বান জানিয়ে জরুরি নাগরিক সেবাসমূহ নির্বিঘ্ন করার সব প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণের আহ্বান জানাচ্ছি। একই সঙ্গে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনে কর্মরত প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা, সচিব, স্বাস্থ্য বিভাগ, বর্জ্য ব্যবস্থাপনা বিভাগ, ভাণ্ডার ও ক্রয় কর্মকর্তার দপ্তর, হিসাব ও অডিট বিভাগ, সমাজ কল্যাণ বিভাগ, আইন বিভাগ, রাজস্ব বিভাগ, সম্পত্তি বিভাগ, পরিবহন বিভাগ, বিদ্যুৎ সার্কেল, যান্ত্রিক সার্কেল, সংস্থাপন শাখা, নিরাপত্তা শাখা, জনসংযোগ বিভাগ, আইসিটি সেল, নগর পরিকল্পনা বিভাগ, আঞ্চলিক নির্বাহী কর্মকর্তার কার্যালয়, নিজ নিজ অফিসে কর্মরত থেকে তাদের উপরে দায়িত্বসমূহ যেমন: জন্ম-মৃত্যু সনদ, নাগরিক সনদ ওয়ারিশান সনদ, বিভিন্ন ধরনের প্রত্যয়নপত্র, সব প্রকার পৌর ও বাজার কর আদায়, ট্রেড লাইন্সেস ইস্যু, নবায়ন, বর্জ্য ব্যবস্থাপনা, মশক নিধন কার্যক্রম, ডেঙ্গু চিকনগুনিয়া ও করোনা প্রতিরোধ কার্যক্রম, সড়ক বাতি প্রজ্জ্বলন সচল রাখার জন্য আহ্বান জানাচ্ছি।
তিনি বলেন, আমরা বিশ্বাস করি, জনগণই এই দেশের প্রকৃত মালিক। তারা সঠিক সময়ে স্থানীয় সরকার উপদেষ্টার এমন ফ্যাসিস্ট, বেআইনী কার্যকলাপের জবাব দেবে। তিনি আরও বলেন, কোন দালাল শ্রেণি স্বৈরাচারের দোসর, ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগের দোসর, দুর্নীতিবাজ কোন কর্মকর্তা ও কর্মচারী ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন তথা নগর ভবন বা আঞ্চলিক কার্যালয়সমূহের কোথাও প্রবেশ করতে পারবে না। তাদের দেখা মাত্রই প্রতিহত করা হবে। যদি কোন কর্মকার্তা ও কর্মচারী তাদের ওপর অর্পিত দায়িত্ব অর্থ্যাৎ নাগরিক সেবা প্রদানে অপরাগতা প্রকাশ বা গাফিলতি করে তবে তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
স্থানীয় সরকার উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজিব ভূঁইয়ার বিরুদ্ধে দেশে ও বিদেশে পাহাড়সম দুর্নীতির অভিযোগ রয়েছে উল্লেখ করে মশিউর রহমান বলেন, কাজেই তিনি ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনে কর্মকর্তা ও কর্মচারী নিয়োগের যে উদ্যোগ গ্রহণ করেছেন তা কোনো ক্রমেই বাস্তবায়ন হতে দেওয়া হবে না। তাই সব প্রকার নিয়োগ কার্যক্রম বন্ধ থাকবে।