সুনামগঞ্জে সেনাবাহিনী ও অবৈধ অস্ত্রধারীদের মধ্যে গোলাগুলি

ডেস্ক রিপোর্ট
  ২৩ জুন ২০২৫, ১০:৩৬

সুনামগঞ্জের জগন্নাথপুরে সেনাবাহিনীর সঙ্গে অস্ত্রধারী সন্ত্রাসীদের গোলাগুলি ঘটনা ঘটেছে। রোববার (২২ জুন) সন্ধ্যায় উপজেলার গাদালিয়া গ্রামে সেনাবাহিনী অবৈধ অস্ত্র উদ্ধার করতে গেলে এ ঘটনা ঘটে। পরে আবু সাঈদ (৩১) নামে এক রাজমিস্ত্রীর গুলিবিদ্ধ মরদেহ পাওয়া যায়।
রোববার (২২ জুন) রাতে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন জগন্নাথপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাহফুজ ইমতিয়াজ ভূইয়া।
নিহত আবু সাঈদ দিরাই উপজেলার তারপাশা গ্রামের তাজ মিয়ার ছেলে।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, জেলার দিরাই উপজেলার কুলঞ্জ ইউনিয়নের হাতিয়া গ্রামের বাসিন্দা বর্তমান চেয়ারম্যান যুবলীগ নেতা একরার হোসেন ও একই গ্রামের বাসিন্দা ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি আতিকুর রহমানের মধ্যে গ্রামে আধিপত্য বিস্তার নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে দ্বন্দ্ব চলছে। এর জেরে দুইদিন ধরে গ্রামে উত্তেজনা চলছিল। উভয় পক্ষের মধ্যে গত শুক্রবার পাল্টপাল্টি ধাওয়ার ঘটনা ঘটে। এসময় প্রকাশ্যে অস্ত্র প্রদর্শন করা হয়। এ ঘটনায় অস্ত্র উদ্ধার করতে রোববার (২২ জুন) সন্ধ্যায় সেনাবাহিনীর একটি দল দিরাইয়ের হাতিয়া গ্রামে অভিযান চালায়। এসময় সেনাবাহিনীর হাত থেকে বাঁচতে অস্ত্রধারী সন্ত্রাসীরা নৌকায় করে পালিয়ে পার্শ্ববর্তী জগন্নাথপুর উপজেলার গাদালিয়া গ্রামে গিয়ে আশ্রয় নেয়। পরে সেখানে গিয়ে সেনাবাহিনীর দল ওই গ্রাম ঘেরাও করলে সন্ত্রাসীরা সেনা সদস্যদের লক্ষ্য করে গুলি ছোঁড়ে। এসময় সেনাবাহিনী আত্মরক্ষায় গুলি চালায়। পরে ওই এলাকায় রাজমিস্ত্রী আবু সাঈদের গুলিবিদ্ধ মরদেহ পাওয়া যায়।
জগন্নাথপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাহফুজ ইমতিয়াজ ভুঞা বলেন, ঘটনার বিস্তারিত পরে জানানো হবে। তবে এতটুকু বলতে পারি গুলিবিদ্ধ এক রাজমিস্ত্রীর মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। তবে তিনি কার গুলিতে নিহত হয়েছেন সেটা বলা সম্ভব নয়।