সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের মাধ্যমেই ‘পরাজিত শক্তির ইন্ধন’ ও ‘বিদেশি ষড়যন্ত্র’ বন্ধ করা সম্ভব বলে মন্তব্য করেছে বিএনপি। দলটি বলেছে, সরকারের কাজের পরিবেশ বিনষ্ট হওয়ার জন্য অন্য কাউকে দায়ী করার সুযোগ নেই, এটি তাদের ‘নিজস্ব অর্জন’।
মঙ্গলবার (২৮ মে) রাজধানীর গুলশানে বিএনপির চেয়ারপারসনের রাজনৈতিক কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এ কথা বলেন দলটির জাতীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন। লিখিত বক্তব্যে তিনি বলেন, ‘সরকারের পক্ষ থেকে কাজের পরিবেশ নষ্ট হওয়ার যে অভিযোগ তোলা হয়েছে, তা আসলে তাদেরই কর্মের ফল।’
ড. মোশাররফ বলেন, ‘গত ২৪ মে প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে বিএনপি প্রতিনিধিদলের বৈঠকের পর আমরা তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়া দিয়েছি। পরদিন আরও ২০টি রাজনৈতিক দলের সঙ্গে বৈঠক হয়। কিন্তু প্রেস সচিবের মাধ্যমে জাতির সামনে যে বিবৃতি দেওয়া হয়েছে, সেখানে একটি নিরপেক্ষ নির্বাচনের রোডম্যাপের কোনো স্পষ্টতা নেই।’
তিনি বলেন, বিএনপি প্রধান উপদেষ্টার পদত্যাগ চায়নি, এখনো চায় না। তবে ডিসেম্বর ২০২৫-এর মধ্যে একটি গ্রহণযোগ্য জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠানের লক্ষ্যে একটি সুনির্দিষ্ট রোডম্যাপ জনগণ চায়।
বিএনপির এ নেতা আরও বলেন, ‘সংস্কার ও নির্বাচন প্রক্রিয়া একসঙ্গে চলতে পারে। জনগণের আকাঙ্ক্ষা বাস্তবায়নই এখন সরকারের প্রধানতম দায়িত্ব হওয়া উচিত।’
তিনি অভিযোগ করেন, উপদেষ্টা পরিষদের বিবৃতিতে বিমূর্তভাবে দায় চাপানোর প্রবণতা রয়েছে। অথচ বিএনপি সবসময় সরকারের কাজের পরিবেশ রক্ষায় সহযোগিতা দিয়ে আসছে। সরকারের স্বকীয়তা ও কর্মকৌশলে যে দুর্বলতা রয়েছে, সেটাই জনমনে সংশয় তৈরি করেছে।
দেশে একটি নির্বাচিত রাজনৈতিক সরকার প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে জনগণের প্রত্যাশা অনুযায়ী অবিলম্বে সুনির্দিষ্ট রোডম্যাপ ঘোষণার দাবি জানিয়ে তিনি বলেন, ‘নির্বাচন, বিচার ও সংস্কার এগিয়ে নিতে এবং স্বৈরতন্ত্র রুখে দিতে বৃহত্তর ফ্যাসিবাদবিরোধী জাতীয় ঐক্য গড়ে তোলা জরুরি।’
তিনি আরও বলেন, ‘এই সরকারের প্রতি জনগণের সহযোগিতা ধরে রাখতে হলে এখনই গণতান্ত্রিক রূপান্তরের প্রক্রিয়া ত্বরান্বিত করা উচিত। অন্যথায় বিএনপির পক্ষ থেকে সহযোগিতা অব্যাহত রাখা কঠিন হয়ে দাঁড়াবে।’