করিডোর নয়, আপনাদের দায়িত্ব সুষ্ঠু নির্বাচন উপহার দেওয়া

ফারুক
ডেস্ক রিপোর্ট
  ১৬ মে ২০২৫, ২০:২৪
আপডেট  : ১৬ মে ২০২৫, ২০:২৫

অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের উদ্দেশে বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা ও সাবেক বিরোধীদলীয় চিফ হুইপ জয়নুল আবদিন ফারুক বলেছেন, করিডোর নিয়ে আপনারা কথা না বলে এটা করার জন্য নির্বাচিত সরকারের হাতে দায়িত্ব দিন। তারা দেশের জনগণের সঙ্গে কথা বলে ঠিক করবে। আপনাদের দায়িত্ব এটা নয়, আপনার দায়িত্ব হচ্ছে একটি অবাধ সুষ্ঠু নির্বাচন উপহার দেয়া।
শুক্রবার (১৬ মে) দুপুরে জাতীয় প্রেস ক্লাবে লেবার পার্টির প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান আব্দুল মতিনের ২৯ তম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন।
অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. ইউনূসের উদ্দেশে জয়নুল আবদিন ফারুক বলেন, দেশের চলমান রাজনৈতিক সংকট দূর করার জন্য আপনাকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। আপনি শুধু বাংলাদেশের নয়, পৃথিবীর ইতিহাসে একজন গ্রহণযোগ্য ব্যক্তি। দুদিন আগে দেখলাম আপনি চট্টগ্রামে গ্রামের ভাষায় কথা বলেছেন। ওখানে হাসিখুশি মন নিয়ে যে কথাগুলো বলেছেন মনের অন্তর থেকে আপনি যদি এইভাবে গত ১৬ বছরের শেখ হাসিনার অত্যাচার,আয়নাঘরের নির্বিচারে অত্যাচার বিএনপির পাঁচ হাজারের ওপরে নেতাকর্মীদের অন্যায়ভাবে হত্যা করার ইতিহাস নিয়ে কথা বলতেন! জুলাই বিপ্লবে হাজার হাজার নেতাকর্মীর, পঙ্গুত্ববরণকারীদের স্মরণ করে আপনার এখন গুরু দায়িত্ব একটি। সেটি হলো এদেশের মানুষকে একটি অবাধ ও নিরপেক্ষ নির্বাচন উপহার দেওয়া।
সাবেক বিরোধীদলীয় চিফ হুইপ বলেন, মুক্তিযোদ্ধাদের আত্মা শান্তি পাবে যদি আমাদের নেতা তারেক রহমানের ভাষ্যমতে আমাকে ক্ষমতায় নয়, বিএনপিকে ক্ষমতায় নয়, বাংলাদেশের মানুষ যেন মৃত ব্যক্তির ভোট থেকে রক্ষা পায়। আমার ভোট আমি দেবো, স্বচ্ছল পায়ে নিজে দেবো। এই ব্যবস্থা আপনি দ্রুত করে দেন। আপনাদের কানের কাছে কারা গুনগুন করছে এটা জনগণ কিন্তু বুঝতে পারে। তাই কোনো ষড়যন্ত্র করে লাভ হবে না।
তিনি আরও বলেন, আজকে গণমাধ্যমে দেখলাম ১০১ জন ডিসি-এসপির নাম প্রকাশ করা হয়েছে যারা হাসিনার আমলে আমাকে আপনাকে ভোটকেন্দ্রে গিয়ে ভোট দিতে দেয়নি। খালি নাম প্রকাশ হয়, কোনো কাজ হয় না। ছাত্রদল নেতা সাম্যকে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে ছুরিকাঘাতে হত্যা করা হয়েছে। তার জন্য তদন্ত কমিটি হয়েছে। আব্দুল হামিদ চলে গেছে, তাতেও তদন্ত কমিটি হয়েছে। এটা করে লাভ কী? তদন্ত কমিটি করে কি আব্দুল হামিদকে আনতে পারবেন? সাম্যকে ফিরিয়ে দিতে পারবেন? কোনো লাভ হবে না। এসব ঘটনা ঘটার আগেই আপনাদের সতর্ক হওয়া উচিত ছিল।
লেবার পার্টির চেয়ারম্যান ডা. মুস্তাফিজুর রহমানের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান, কেন্দ্রীয় নেতা নাজিমুদ্দিন আলম প্রমুখ বক্তব্য দেন।