রাঙ্গামাটিতে ভাঙা হচ্ছে শেখ মুজিবের ভাস্কর্য

ডেস্ক রিপোর্ট
  ১৬ মে ২০২৫, ২২:১৯

রাঙ্গামাটিতে ভেঙে ফেলা হচ্ছে শেখ মুজিবুর রহমানের ভাস্কর্য। শুক্রবার (১৬ মে) বিকেল ৩টা থেকে শহরের সার্ভার স্টেশন এলাকায় নির্মিত ভাস্কর্যটি ভাঙতে শুরু করে ছাত্র-জনতা। রাত সাড়ে ৮টায় এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত ভাঙার কাজ চলছে।
পুলিশ ও স্থানীয়রা জানান, বিকেলে শহরের ভেদভেদী বাজার থেকে ‘ফ্যাসিবাদবিরোধী ছাত্র-জনতা' ব্যানারে একটি বিক্ষোভ মিছিল বের হয়। মিছিলটি সার্ভার স্টেশনের সামনে অবস্থান নিলে বিক্ষুব্ধ ছাত্র-জনতা ভাস্কর্য ভাঙা শুরু করে। প্রথমে লোহার বড়, হাতুড়ি দিয়ে ভাঙার চেষ্টা করলেও পরে যুক্ত হয় ড্রিল মেশিন।
ফ্যাসিবাদবিরোধী ছাত্র-জনতা রাঙ্গামাটির সংগঠক ও ছাত্র অধিকার পরিষদের জেলা আহ্বায়ক মো. ওয়াহিদুজ্জামান রোমান জানান, ‘আমরা আশা করছি আজকে (শুক্রবার) রাতের মধ্যে ভাঙার কাজ শেষ হয়ে যাবে।’
ভাস্কর্যটি দেখভালের দায়িত্ব রয়েছে রাঙ্গামাটি পার্বত্য জেলা পরিষদ। জানতে চাইলে জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান কাজল তালুকদার জানান, ‘ভাস্কর্যটি ভাঙার খবর পেয়েছি। তবে কারা ভাঙছে সেটি জানি না।’
রাঙ্গামাটির কোতোয়ালি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. শাহেদ উদ্দিনের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি ছুটিতে আছেন বলে জানান। একাধিকবার কল করেও পাওয়া যায়নি পুলিশ সুপার ড. এসএম ফরহাদ হোসেনকে।
এর আগে বুধবার দুপুরে শহর ও জেলা পরিষদ কার্যালয়ের সামনে বিক্ষোভ ও অবস্থান করে ভাস্কর্য ভাঙার আলটিমেটাম দেয় ফ্যাসিবাদবিরোধী ছাত্র-জনতা। বিক্ষোভ কর্মসূচি থেকে ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে ভাস্কর্য ভাঙতে স্থানীয় প্রশাসন ও সংশ্লিষ্টদের আলটিমেটাম দেওয়া হয়। ৪৮ ঘণ্টা পর তারা ভাস্কর্য ভাঙার কর্মসূচি ঘোষণা করে।
২০১২ সালে শহরের ভেদভেদী সার্ভার এলাকায় শেখ মুজিবুর রহমানের ভাস্কর্য নির্মাণের উদ্যোগ নেওয় পার্বত্য জেলা পরিষদ। ২০২০ সাল পর্যন্ত ধাপে ধাপে ভাস্কর্যটির নির্মাণ করা হলেও এখনো কিছু কাজ অসম্পন্ন রয়ে গেছে। প্রায় ৬ কোটি টাকা ব্যয়ে এ ভাস্কর্য নির্মাণে নকশাগত ত্রুটি ও অনিয়মের অভিযোগও উঠে। ভাস্কর্য নির্মাণকাজে ঠিকাদার ছিলেন জেলা আওয়ামী লীগের নেত্রী ও সংরক্ষিত আসনের সাবেক সংসদ সদস্য ফিরোজা বেগম চিনুর স্বামী আনোয়ার হোসেন।