সরকারে থাকাটা দো ধারি তলোয়ারের ওপর দাঁড়িয়ে থাকার মতো হয়ে গেছে

উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ
ডেস্ক রিপোর্ট
  ১১ মে ২০২৫, ২২:২৪

অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের যুব ও ক্রীড়া উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজিব ভূঁইয়া বলেছেন,স্বাধীনতা অর্জনের থেকে রক্ষা করা কঠিন। এর চেয়ে কঠিন সত্য আর নেই। লড়াই যেন থামছেই না। রাজপথের লড়াইটা সামষ্টিক, জুলাইয়ের যোদ্ধাদের মিলনস্থলে পরিণত হওয়ায় এক ধরনের ভালোলাগার জায়গাও তৈরি করে। মাঝে মাঝে মনে হয় ছেড়ে দিয়ে চলে যাই রাজপথে। সেটাই আমার জায়গা, যা করতে অভ্যস্ত এবং স্বচ্ছন্দ বোধ করি।
রোববার (১১ মে) রাতে নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক আইডিতে দেওয়া এক পোস্টে এমন মন্তব্য করেন তিনি।
ফেসবুকে উপদেষ্টা লেখেন, ছেড়ে দেওয়ার চিন্তা মাথায় আসলেও থেকে যেতে হয় গণঅভ্যুত্থানের পাহারাদার হওয়ার জন্য। জুলাইয়ের ছাত্র-জনতার আওয়াজটা পৌঁছে দেওয়ার জন্য। আমাদের এই লড়াইটা হয়তো দেখা যায় না, শোনা যায় না।


তিনি লেখেন, সরকারে থাকাটা দো ধারি তলোয়ারের ওপর দাঁড়িয়ে থাকার মতো হয়ে গেছে। সরকার কোনো ভুল করলে, সেটা আমাদের এখতিয়ারভুক্ত না হলেও জনতার কাঠগড়ায় আমাদের দুজনকে দাঁড় করানো হয়। আবার ছাত্র-জনতা মাঠে নামলে রাষ্ট্রের ক্ষমতার ভরকেন্দ্রগুলো আমাদের সন্দেহের চোখে দেখে, টার্গেট করে। স্টাবলিশমেন্ট মনে করে এটা আমরা করাচ্ছি। এছাড়াও ক্ষমতার বিভিন্ন ভরকেন্দ্রের সঙ্গে জুলাই প্রশ্নে আপস না করতে পারায় তাদের চক্ষুশুলে পরিণত হওয়াটা বোনাস।
পোস্টে তিনি আরও লেখেন, রাষ্ট্র অনেক বড় এবং জটিল জায়গা। এখানে কোনো কিছু বাস্তবায়ন করা অত্যন্ত কঠিন। তবে স্বস্তির বিষয় হলো এই উপদেষ্টা পরিষদ অনেক বাধা আসলেও দিনশেষে ছাত্র-জনতার পক্ষে অবস্থান নিচ্ছে, জনরায়ের বাস্তবায়ন করতে পারছে। যতদিন পারবে, জুলাই গণঅভ্যুত্থানের পক্ষে থাকবে, গণঅভ্যুত্থানের ভয়েসের যথাযথ গুরুত্ব এই উপদেষ্টা পরিষদ দিবে ততদিনই আছি। গণঅভ্যুত্থানের শহীদদের পক্ষ থেকে সরে গেলে আমার আর এখানে কাজ নেই।
সরকারের এই উপদেষ্টা লেখেন, আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধ হওয়ার প্রক্রিয়ায় জুলাই জনতার আরেকটি বিজয় হলো। এ স্টাবলিশমেন্টের মধ্যে যারা আওয়ামী সিমপ্যাথাইজার আছেন সতর্ক হয়ে যান। একটু অসতর্কতা পরেরবার আপনাদের পতনের কারণ হতে পারে। জুলাইকে মেনে না নিয়ে বাংলাদেশে শান্তিতে থাকার সুযোগ নেই।
তিনি লেখেন, সোশ্যাল মিডিয়ায় কিছু ফটোকার্ড দেখলাম যেখানে মাহফুজ ভাই আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধের বিপক্ষে অবস্থান নিয়েছেন এমন। এ মিথ্যাচার বন্ধ করুন। আপনার সঙ্গে কারো চিন্তাগত পার্থক্য থাকতেই পারে, সেটাকে নোংরা মিথ্যাচারের মাধ্যমে প্রকাশ করা উচিত না। মাহফুজ ভাই প্রথম থেকে আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধ করা এবং এর সর্বোৎকৃষ্ট পন্থা কী হতে পারে তা নিয়ে আর্গুমেন্ট করেছেন।
ফোসবুক পোস্টে সবশেষ উপদেষ্টা লেখেন, ডিটেইলসে গেলে গোপনীয়তার শপথ ভঙ্গ হবে বিধায় এটুকুই থাক।