দীর্ঘ ১৭ বছর যুক্তরাজ্যে অবস্থান শেষে দেশে ফিরে নিজ বাসভবন ‘মাহবুব ভবন’-এ ফিরেছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের স্ত্রী ডা. জুবাইদা রহমান।
মঙ্গলবার (৬ মে) রাত সাড়ে ৯টার সময় ধানমন্ডির ৫ নম্বর সড়কে অবস্থিত ‘মাহবুব ভবন’-এ প্রবেশ করেন তিনি।
এসময় ডা. জুবাইদা রহমানের গাড়ির সঙ্গে আরও বেশ কয়েকটি গাড়ি ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যদের কড়া নিরাপত্তা দেখা গেছে।
এদিকে ডা. জুবাইদা রহমানের আগমন ঘিরে আগে থেকেই সাজ-সজ্জা ও প্রস্তুত রাখা হয় ‘মাহবুব ভবন’।
এদিন দুপুর নাগাদ সরেজমিনে দেখা গেছে, ডা. জুবাইদা রহমানের আগমন ঘিরে ‘মাহবুব ভবন’ রঙ ও সাজসজ্জা করা হয়েছে। স্থাপন করা হয়েছে সিসি ক্যামেরা। ভবনের সামনের দেওয়ালটির উপরে দেওয়া হয়েছে কাঁটাতারের বেষ্টনী। নিরাপত্তার স্বার্থে ভবনটির প্রধান ফটক বন্ধ রাখতে দেখা গেছে। তবে ভেতরে লোকসমাগম ছিল।
এছাড়াও ভবনটির সামনে ও আশপাশে বিপুল সংখ্যক আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যদের দ্বায়িত্ব পালন করতে দেখা গেছে।
দীর্ঘ ১৭ বছর পর মঙ্গলবার (৬ মে) সকাল ১০টা ৩৮ মিনিটে কাতারের আমিরের দেওয়া বিশেষ রাজকীয় বিমানে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে পৌঁছান তিনি। ওই বিমানে লন্ডনে প্রায় চার মাস চিকিৎসা শেষে দেশে ফিরেছেন বিএনপি চেয়ারপারসন ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়া। সঙ্গে এসেছেন খালেদা জিয়ার ছোট ছেলে আরাফাত রহমান কোকোর স্ত্রী সৈয়দা শর্মিলা রহমান।
বাড়িটিতে বর্তমানে মাহবুব আলী খানের স্ত্রী সৈয়দা ইকবাল মান্দ বানু এবং বড় মেয়ে শাহীনা জামান ও তার পরিবারের সদস্যরা থাকেন।
১৭ বছর আগে ২০০৮ সালের ১১ সেপ্টেম্বর তারেক রহমানের সঙ্গে দেশ ছেড়েছিলেন জুবাইদা রহমান।
ওয়ান ইলেভেনের পর জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগে ২০০৮ সালের ২৬ সেপ্টেম্বর তারেক রহমান, জোবাইদা রহমান ও ইকবাল মান্দ বানুর বিরুদ্ধে রাজধানীর কাফরুল থানায় একটি মামলা করে দুর্নীতি দমন কমিশন। ওই মামলায় জুবাইদা রহমানকে তিন বছরের কারাদণ্ড ও ৩৫ লাখ টাকা অর্থদণ্ড দেয় ঢাকার একটি আদালত।
জোবাইদার বাবা রিয়ার অ্যাডমিরাল মাহবুব আলী খান ১৯৭৮ সালের ৪ নভেম্বর থেকে ১৯৮৪ সালের ৬ অগাস্ট পর্যন্ত বাংলাদেশের নৌবাহিনীর প্রধান ছিলেন। এরপর হুসেইন মুহম্মদ এরশাদের সরকারের সময়ে তিনি যোগাযোগ ও কৃষিমন্ত্রী ছিলেন। মুক্তিযুদ্ধের সর্বাধিনায়ক জেনারেল এম এ জি ওসমানী জোবাইদা রহমানের চাচা।