অন্তর্বর্তী সরকারের কিছু পদক্ষেপে জনগণ হতাশ

ফারুক
ডেস্ক রিপোর্ট
  ০২ মে ২০২৫, ২২:১০

নির্বাচন নিয়ে মানুষের মধ্যে অস্থিরতা শুরু হয়েছে মন্তব্য করে বিএনপির চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা ও সাবেক বিরোধীদলীয় চিফ হুইপ জয়নুল আবদিন ফারুক বলেছেন, ‘অন্তর্বর্তী সরকারের কিছু কিছু পদক্ষেপে জনগণ হতাশ হয়ে পড়েছে।’
তিনি বলেন, এখন চায়ের দোকানে বসে মানুষ আলোচনা করেন উনি কী ক্ষমতায় থাকার জন্য এসেছেন? কারণ ওই জনগণ তো বিগত ১৬ বছরে ভোট দিতে পারেনি। আমরা এ সরকারের কাছে আশা করেছিলাম তারা যতদ্রুত সম্ভব একটি অবাধ সুষ্ঠু নির্বাচন দেবে। আমার ভোট আমি দেবো নিজে কেন্দ্রে গিয়ে যোগ্য ব্যক্তিকে ভোট দেবো।
বাংলাদেশ গণজাগরণ দলের উদ্যোগে শুক্রবার (২ মে) জাতীয় প্রেস ক্লাবে আয়োজিত ‘ফ্যাসিবাদের মিথ্যা মামলায় ৬০ লাখ আসামির মুক্তি কতদূর ও বর্তমান প্রেক্ষাপট’ শীর্ষক এক আলোচনাসভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ কথা বলেন তিনি।
অন্তর্বর্তী সরকারের উদ্দেশে জয়নুল আবদিন ফারুক বলেন, ‘আপনাদের প্রথম কাজ হওয়া উচিত ছিল বিগত ১৫ বছরে হাসিনা যাদের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা দিয়েছে সেই মামলাগুলো দ্রুত প্রত্যাহার করে নেওয়া। দ্বিতীয় কাজ ছিল নিত্যপণ্যের দাম কন্ট্রোলে রেখে জনগণের সেবা করা। এরপরে ন্যূনতম সংস্কার করে একটি অবাধ সুষ্ঠু নির্বাচনের ব্যবস্থা করা।
কিন্তু আপনারা এখন পর্যন্ত এটি করতে পুরোপুরি সফল হননি বরং ব্যর্থতার পরিচয় দিয়েছেন। আমাদের নেতা তারেক রহমান বলেছেন, আমরা মৃত ব্যক্তির ভোটে ক্ষমতায় যেতে চাই না, আমরা রাতের ভোটে ক্ষমতায় যেতে চাই না, আমরা দিনের ভোট দিনে চাই, রাতে নয়।
সাবেক এ বিরোধীদলীয় চিফ হুইপ বলেন, ‘আওয়ামী লীগ বিচারবিভাগকে ধ্বংস করে দিয়ে গেছে। পুলিশকে দলীয় পেটুয়া বাহিনীতে পরিণত করেছিল। কিন্তু এখনো অন্তর্বর্তী সরকারের আশপাশে সেই আওয়ামী লীগের দোসরদের দেখা যায়। তাদের এখনো সরাতে ব্যর্থ হয়েছেন অন্তর্বর্তী সরকার। এদের সরাতে হবে কারণ এরা অন্তর্বর্তী সরকারকে ব্যর্থ করার জন্য এখনো নানাভাবে চক্রান্ত করছে, ষড়যন্ত্র করছে।
করিডোর প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘আসল কাজের সঙ্গে দেখা নেই, করিডোর নিয়ে কথা বলছে। নির্বাচন নিয়ে কথা নেই করিডোর নিয়ে কথা হচ্ছে। বিচার বিভাগ স্বাধীন করার দিকে খেয়াল নেই করিডোর নিয়ে কথা হচ্ছে। করিডোর নিয়ে সিদ্ধান্ত নিতে পারবে একমাত্র নির্বাচিত সরকার।
সংগঠনের সভাপতি হাবিব আহমেদ আশিকের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় আরও বক্তব্য দেন বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা হারুনুর রশীদ, জাতীয়তাবাদী তাঁতী দলের যুগ্ম আহ্বায়ক কাজী মনিরুজ্জামান মনির, মৎস্যজীবী দলের কেন্দ্রীয় নেতা ইসমাইল হোসেন সিরাজী প্রমুখ।