জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়

গণপিটুনিতে নিহত সেই ছাত্রলীগ নেতাকেও ‘বহিষ্কার’

ডেস্ক রিপোর্ট
  ৩০ এপ্রিল ২০২৫, ২২:০১

জুলাই আন্দোলনে শিক্ষার্থীদের ওপর হামলার সম্পৃক্ততা পেয়ে ১২ জনকে সাময়িক বহিষ্কার করেছে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। সে তালিকায় গণপিটুনিতে নিহত নিষিদ্ধ ঘোষিত ছাত্রলীগ নেতা শামীম মোল্লারও নাম রয়েছে। একজন মৃত মানুষ কীভাবে বহিষ্কার হয় সে নিয়ে বিতর্ক চলছে ক্যাম্পাসজুড়ে।
গত সোমবার (২৮ এপ্রিল) বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার এবিএম আজিজুর রহমান স্বাক্ষরিত এক চিঠিতে শামীম মোল্লাসহ ১২ জনকে বহিষ্কার করা হয়।
সে চিঠিতে বলা হয়, ২০২৪ সালের ১৪, ১৫ ও ১৭ ক্যাম্পাসে সংঘটিত নৃশংস ঘটনায় সম্পৃক্ততার বিষয়টি প্রমাণিত হওয়ায় ১৭ মার্চ অনুষ্ঠিত সিন্ডিকেটের বিশেষ সভায় ১২ শিক্ষার্থীকে সাময়িকভাবে বহিষ্কার করা হলো।
যদিও গত ১৮ সেপ্টেম্বর ক্যাম্পাসে গণপিটুনির পর হাসপাতালে নেওয়ার পথে মারা যান শামীম মোল্লা। তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের ইতিহাস বিভাগের ৩৯ ব্যাচের (২০০৯-২০১০ সেশন) সাবেক শিক্ষার্থী ছিলেন।
বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজি বিভাগের শিক্ষার্থী সাজ্জাদ হোসেন বলেন, অপরাধী শনাক্ত করে নাম প্রকাশের জন্য প্রশাসন দীর্ঘ সময় নেওয়ার পরও এসব ভুল উদাসীনতাই প্রমাণ করে। এমন না যে শামীম মোল্লাকে প্রশাসন চেনে না। তার মৃত্যুর ঘটনার পর থেকে সবার কাছেই তিনি পরিচিত।
ইতিহাস বিভাগের সভাপতি অধ্যাপক এমরান জাহান বলেন, কেউ মারা গেলে তো আসামির খাতায় নামই থাকে না। এখানে তাদের (প্রশাসন) ভুল আছে মনে হয়। হয়তো তার মৃত্যুর আগের লিস্ট অনুযায়ী তালিকা প্রকাশ করেছে।
এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার এ বি এম আজিজুর রহমান বলেন, আমার কাছে প্রস্তুত করা তালিকা এসেছে। অসাবধানতাবশত স্বাক্ষর করে দিয়েছি।