আনুপাতিক নির্বাচনসহ ১১ বিষয়ে একমত ইসলামী আন্দোলন ও এবি পার্টি

ডেস্ক রিপোর্ট
  ৩০ এপ্রিল ২০২৫, ২১:৫৭

আনুপাতিক প্রতিনিধিত্বমূলক বা পিআর পদ্ধতির নির্বাচন নিয়ে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ ও এবি পার্টি ঐকমত্যে পৌঁছেছে। একই সঙ্গে দল দুটি সংস্কার শেষে নির্বাচন ও পতিত ফ্যাসিবাদের বিচারসহ ১১টি বিষয়ে একমত হয়েছে।
বুধবার (৩০ এপ্রিল) ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে দুই দলের মধ্যে চলমান রাজনৈতিক পরিস্থিতি নিয়ে সংলাপ হয়েছে।
এতে সভাপতিত্ব করেন ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের আমির চরমোনাই পীর মুফতি সৈয়দ মুহাম্মাদ রেজাউল করীম। এবি পার্টির পক্ষে নেতৃত্ব দেন দলের চেয়ারম্যান মজিবুর রহমান মঞ্জু।

ঐকমত্যে পৌঁছানো ১১ দফার মধ্যে রয়েছে-

১) আধিপত্যবাদ, সম্প্রসারণবাদ ও সাম্রাজ্যবাদমুক্ত স্বাধীন সার্বভৌম টেকসই কল্যাণকর বাংলাদেশ রাষ্ট্র গঠনে জাতীয় ঐক্য গড়ে তোলা।

২) দুর্নীতিবাজ, সন্ত্রাসী, খুনি ও টাকা পাচারকারীদের দ্রুত বিচারের আওতায় এনে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির ব্যবস্থা করা।

৩) ভোটাধিকারসহ সব নাগরিক অধিকার ও মানবাধিকার রক্ষায় জাতীয় ঐকমত্য গড়ে তোলা।

৪) প্রয়োজনীয় সংস্কার শেষ করে দ্রুত সময়ের মধ্যে সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচনের ব্যবস্থা করা।

৫) দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি রোধ এবং আইনশৃঙ্খলা স্বাভাবিক করে নিয়ে আসা।

৬) আওয়ামী ফ্যাসিবাদবিরোধী সব শক্তি দেশ পুনর্গঠনে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করা।

৭) আওয়ামী ফ্যাসিবাদবিরোধী শক্তিগুলো একে অন্যের বিরুদ্ধে আঘাত করে কথা না বলা।

৮) আগামীতে যেন আওয়ামী লীগের মতো আর কোনো ফ্যাসিবাদী শক্তি ক্ষমতায় আসতে না পারে, সে ব্যাপারে ঐক্যবদ্ধ থাকা।

৯) দেশের স্থায়ী শান্তি ও মানুষের মুক্তির লক্ষ্যে পর্যায়ক্রমে সংবিধানে বিদ্যমান শরিয়াহ্ বিরোধী আইন বাতিল এবং ইসলামসহ সব ধর্মের প্রতি অবমাননাকর বক্তব্য পরিহার করা, কারও ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত করে কোনো কথা বা বক্তব্য না দেওয়া।

১০) প্রশাসনে এখনো বিদ্যমান আওয়ামী ফ্যাসিবাদের দোসরদের দ্রুত অপসারণ করা।

১১) রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা কার্যকরী সংসদ ও জনমতের সঠিক প্রতিফলনের লক্ষ্যে জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সংখ্যানুপাতিক নির্বাচন পদ্ধতি চালুর লক্ষ্যে ব্যাপক কার্যক্রম গ্রহণ করা।
সংলাপে এবি পার্টির অন্য নেতাদের মধ্যে ছিলেন, দলের ভাইস চেয়ারম্যান লে. কর্নেল দিদারুল আলম, পিএসসি (অব.) বি.এস. নাজমুল হক, সাধারণ সম্পাদক ব্যারিস্টার আসাদুজ্জামান ফুয়াদ, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ব্যারিস্টার যোবায়ের আহমেদ ভূইয়া, অ্যাডভোকেট আব্দুল্লাহ আল মামুন রানা, আনোয়ার সাদাত টুটুল, এবিএম খালিদ হাসান, শ্যাডো অ্যাফেয়ার্স সেক্রেটারি ব্যারিস্টার আব্বাস ইসলাম খান নোমান ও সাংগঠনিক সম্পাদক (বরিশাল বিভাগ) গাজী নাসির।
ইসলামী আন্দোলনের অন্য নেতাদের মধ্যে ছিলেন- দলের মহাসচিব অধ্যক্ষ হাফেজ মাওলানা ইউনূস আহমেদ, প্রেসিডিয়াম সদস্য মাওলানা সৈয়দ মোসাদ্দেক বিল্লাহ আল মাদানী, অধ্যাপক আশরাফ আলী আকন, অধ্যাপক মাহবুবুর রহমান, যুগ্ম মহাসচিব মাওলানা গাজী আতাউর রহমান, ইঞ্জিনিয়ার আশরাফুল আলম, সহকারী মহাসচিব অধ্যক্ষ হাফেজ মাওলানা শেখ ফজলে বারী মাসউদ, মাওলানা ইমতেয়াজ আলম, মাওলানা সৈয়দ এসহাক মু. আবুল খায়ের ও মাওলানা আহমদ আব্দুল কাইয়ুম।