চুনারুঘাট উপজেলার কালিশিরী (জুনিয়র)সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের অভিভাবক সমাবেশে উপজেলা কৃষক লীগের সভাপতি মজিবুর রহমানকে প্রধান অতিথি করায় ক্ষোভ ও উত্তেজনা বিরাজ করছে।প্রশ্ন উঠেছে, কিভাবে উপজেলার অন্যতম ফ্যাসিস্ট মুজিবুর রহমানকে প্রধান অতিথি করা হলো। তারা এর জবাব চান এবং উপজেলা কৃষক লীগের সভাপতি সাবেক বিমান মন্ত্রী এডভোকেট মাহবুব আলীর ঘনিষ্ঠ সহচর মুজিবুর রহমানের গ্রেপ্তার দাবি করেন।
(২৪ এপ্রিল)বৃহস্পতিবার উপজেলার কালিশিরী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে অভিভাবক সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মতিউর রহমানের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন চুনারুঘাট উপজেলা কৃষকলীগের সভাপতি মুজিবুর রহমান মুজিব।এ ছাড়াও এলাকার মুরুব্বী সামিয়া লস্কর সহ শতাধিক নারী-পুরুষ অভিভাবক উপস্থিত ছিলেন।
নাম প্রকাশ্যে অনিচ্ছুক একজন অভিভাবক বলেন, আওয়ামী লীগের ১৭ বছরে মুজিবুর রহমান ক্ষমতার অনেক অপব্যবহার করেছেন, অনেক নিরপরাধ নিরীহ মানুষকে জেল-জুলুম নির্যাতন করেছেন। তার মতো ফ্যাসিস্ট স্কুলের অভিভাবক সমাবেশে প্রধান অতিথি এই মুহূর্তে খুবই দুঃখজনক।তারা অচিরেই মুজিবুর রহমানের গ্রেপ্তার দাবি করেন।
কালিশিরী গ্রামের বাসিন্দা উপজেলা বিএনপির সদস্য জানান,আওয়ামীলীগ- আমলে মুজিবুর রহমান মুজিব মন্ত্রী মাহবুব আলীকে ব্যবহার করে লক্ষ লক্ষ টাকা বানিয়েছেন,গড়েছেন বাড়ি, গাড়ি এবং দোকান।উপজেলা কৃষি অফিসে ছিল তার একচত্র সিন্ডিকেট।কৃষি অফিসের সার,বীজ,ট্রেনিং,হারভেস্টার মেশিন বিতরণ সহ এমন কোন বরাদ্দ নেই যেখানে মুজিবুর রহমানের হাত ছিল না।চুনারুঘাট উপজেলায় সরকারের ১০ টাকা কেজি চাউল বিতরণের ডিলারশিপ নিয়ন্ত্রণ করতেন মুজিব।শুধু তাই নয় উপজেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক সাবেক নৌকার চেয়ারম্যান আবেদ হাসনাত চৌধুরী সনজু’র সাথে তাল মিলিয়ে থানায় দালালি এবং নিরীহ মানুষদের ধরে নিয়ে নির্যাতন করতেন প্রতিনিয়ত।চেয়ারম্যান সঞ্জু চৌধুরী পালিয়ে গেলেও তার সহযোগী মুজিবুর রহমান এলাকায় এখনো বীরদর্পে দাবিয়ে বেড়াচ্ছেন।দ্রুত ফ্যাসিস্ট মুজিব গ্রেফতার করার জন্য এলাকাবাসী জোর দাবি জানিয়েছেন।
এ ব্যাপারে বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মতিউর রহমান জানান,মুজিবুর রহমান পূর্বে বিদ্যালয় এর ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি ছিলেন। সেই সুবাদে তিনি অনুষ্ঠানে এসেছেন।