
মার্কিন নাগরিকত্ব ও অভিবাসন পরিষেবা (ইউএসসিআইএস) ঘোষণা করেছে যে যুক্তরাষ্ট্রের অভিবাসন ব্যবস্থায় সন্ত্রাসী, অপরাধী বিদেশি, জননিরাপত্তার জন্য সম্ভাব্য ঝুঁকিপূর্ণ ব্যক্তি এবং প্রতারণা বা অন্যান্য অপরাধে জড়িত বিদেশিদের শনাক্ত ও বাদ দেওয়ার ক্ষমতা আরও শক্তিশালী করতে একটি বিশেষায়িত ইউনিট গঠন করা হচ্ছে। সম্পূর্ণভাবে কার্যকর হলে, আটলান্টাভিত্তিক এই “ইউএসসিআইএস ভেটিং সেন্টার” বিদেশিদের উন্নত পর্যায়ের যাচাই–বাছাইকে কেন্দ্রীয়ভাবে পরিচালনা করবে এবং হুমকির পরিবেশ পরিবর্তিত হলে সংস্থাকে দ্রুত প্রতিক্রিয়া জানাতে সক্ষম করবে।
“দেশের অভিবাসন ব্যবস্থায় ইউএসসিআইএস-এর ভূমিকা কখনোই এত গুরুত্বপূর্ণ ছিল না। সাম্প্রতিক সহিংস ঘটনার পর — যার একটি ঘটনায় একজন বিদেশি যুক্তরাষ্ট্রে জাতীয় গার্ড সদস্যদের ওপর হামলা করেছে — এই ভেটিং সেন্টার প্রতিষ্ঠা আমাদের জাতীয় নিরাপত্তা ও জননিরাপত্তা সুরক্ষায় আরও ক্ষমতা দেবে,” বলেছেন ইউএসসিআইএস পরিচালক জোসেফ বি. এডলো।
তিনি আরও বলেন, “বাইডেন প্রশাসনের সময়ে নাগরিকত্ব ও অভিবাসন পরিষেবাকে খুব দ্রুত অভিবাসন ও প্রাকৃতিকীকরণ প্রক্রিয়া সম্পন্ন করার জন্য চাপ দেওয়া হয়েছিল, যা জাতীয় নিরাপত্তা ও সম্প্রদায়ের সুরক্ষার ওপর কী প্রভাব ফেলছে, সে বিবেচনা খুব কমই করা হয়েছিল। ট্রাম্প প্রশাসনের প্রথম দিন থেকেই আমরা সেই নীতি বদলেছি। প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের নেতৃত্বে আমরা এমন ব্যবস্থা গড়ে তুলছি যা প্রতারণা, বিভ্রান্তি এবং হুমকি যেন আমাদের অভিবাসন ব্যবস্থার নিরাপত্তা ভেদ করতে না পারে।”
নতুন ভেটিং সেন্টার পুরোপুরি চালু হলে এটি সব ধরনের তথ্য–উপাত্ত, স্ক্রিনিং এবং ভেটিং ক্ষমতা ব্যবহার করবে এবং অভিবাসন আবেদন ও পিটিশনের আরও বিস্তৃত অতিরিক্ত যাচাই পরিচালনা করবে। এই পর্যালোচনায় আধুনিক প্রযুক্তি, বিশেষ করে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা ব্যবহার করা হবে।
সেন্টারটি হোমল্যান্ড সিকিউরিটি দপ্তরসহ বিভিন্ন আইন–শৃঙ্খলা সংস্থা এবং গোয়েন্দা সম্প্রদায়ের স্ক্রিনিং সম্পদ ব্যবহার করবে। তারা পড়ে থাকা আবেদন যাচাইয়ের পাশাপাশি ইতিমধ্যে অনুমোদিত আবেদনগুলোরও বিস্তৃত পর্যালোচনা করবে। প্রেসিডেন্ট নির্ধারিত “উদ্বেগের দেশসমূহের” আবেদনগুলোকে অগ্রাধিকার দেওয়া হবে।
এই ঘোষণা প্রেসিডেন্টের নির্বাহী আদেশ ১৪১৬১—“বিদেশি সন্ত্রাসী ও অন্যান্য জাতীয় নিরাপত্তা এবং জননিরাপত্তার হুমকি থেকে যুক্তরাষ্ট্রকে সুরক্ষা”—এর সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ সাম্প্রতিক পদক্ষেপগুলোর অংশ। এসবের মধ্যে রয়েছে— ১৯টি উচ্চঝুঁকির দেশের বিদেশিদের ভেটিং করার সময় দেশভিত্তিক নেতিবাচক পরিস্থিতি বিবেচনার অনুমোদন। ইতিবাচক (affirmative) আশ্রয় আবেদন সিদ্ধান্ত আপাতত স্থগিত করা।
ইউএসসিআইএসে নতুন নিরাপত্তা–কর্মী নিয়োগের রেকর্ডসংখ্যক উদ্যোগ গ্রহণ। কাজের অনুমতিপত্র নবায়নের আগে নির্দিষ্ট বিদেশিদের আরও কঠোর যাচাইয়ের প্রস্তাবিত নিয়ম এবং অভিবাসন আইন লঙ্ঘনের তদন্ত, গ্রেপ্তার ও প্রসিকিউশন পরিচালনার ক্ষমতাসম্পন্ন বিশেষ এজেন্ট নিয়োগ।