
যুক্তরাষ্ট্রে শাটডাউন ঘিরে ব্যাপক কর্মী ছাঁটাইয়ের শঙ্কা দেখা দিয়েছে। এই পরিস্থিতিকে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প স্থায়ীভাবে কর্মী ছাঁটাইয়ের অজুহাত হিসেবে ব্যবহার করতে পারেন বলেও আশঙ্কা করছেন বিশ্লেষকরা। আর সেটি যদি সত্যিই কার্যকর হয়, তবে মার্কিন অর্থনীতিতে এর ভয়াবহ প্রভাব পড়তে পারে।
যুক্তরাষ্ট্রে ১ অক্টোবর থেকে নতুন অর্থবছর শুরু হয়। অর্থবছর শুরুর প্রথম দিনেই বিগত ছয় বছরের মধ্যে প্রথমবারের মতো সরকার কার্যত বন্ধ হয়ে গেছে। জাতীয় কংগ্রেস অস্থায়ী অর্থায়ন বিল পাসে ব্যর্থ হওয়ায় ফেডারেল সংস্থাগুলোর কার্যক্রমে তহবিলের ঘাটতি দেখা দিয়েছে।
এর ফলে হাজার হাজার সরকারি কর্মচারীকে বাধ্যতামূলক ছুটিতে পাঠানো হয়েছে এবং জাতীয় উদ্যান, পাসপোর্ট প্রসেসিংসহ বহু অত্যাবশ্যক জনসেবা সাময়িকভাবে বন্ধ হয়ে গেছে। বিমানবন্দরে বিলম্ব এবং সাধারণ নাগরিকদের জন্য সেবায় ভোগান্তি বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।
অর্থনীতিবিদদের মতে, এ ধরনের স্থবিরতা কতদিন স্থায়ী হবে তার ওপরই এর প্রভাব নির্ভর করছে। মর্গ্যান স্ট্যানলি রিসার্চ জানিয়েছে, শাটডাউনে যুক্তরাষ্ট্রে প্রতি সপ্তাহে মোট দেশজ উৎপাদন (জিডিপি) প্রায় ০.১ শতাংশ কমতে পারে। যদিও সমঝোতায় পৌঁছানোর পর কর্মীরা কাজে ফিরলে এ ক্ষতি আংশিকভাবে পুষিয়ে যাবে।
শাটডাউনের আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ প্রভাব পড়ছে অর্থনৈতিক অনিশ্চয়তার ওপর। অক্টোবরের শেষ ভাগে ফেডারেল রিজার্ভের সুদের হার নিয়ে সিদ্ধান্তের আগে বিনিয়োগকারীরা শ্রমবাজার ও মূল্যস্ফীতি সংক্রান্ত গুরুত্বপূর্ণ তথ্যের অপেক্ষায় ছিলেন। কিন্তু ব্যুরো অব লেবার স্ট্যাটিসটিকসসহ বিভিন্ন সংস্থা তথ্য সংগ্রহ ও প্রকাশ সাময়িকভাবে স্থগিত করছে। এর ফলে বাজারে অনিশ্চয়তা আরও বেড়েছে।
সূত্র: মর্গান স্ট্যানলি