ঢাকায় আটকা লাতিন ফুটবলাররা!

ডেস্ক রিপোর্ট
  ১৫ ডিসেম্বর ২০২৫, ১৩:২৮


ব্যাগ গুছিয়ে হোটেল ছাড়ার অপেক্ষায় দুই দেশের ফুটবলার ও টিম অফিসিয়ালরা। কিন্তু ব্রাজিল-আর্জেন্টিনার দলের খেলোয়াড়দের আটকে রাখে হোটেল রিজেন্সি কর্তৃপক্ষ। পাওনা অর্থ না দিলে তাদের যেতে দেবে না রিজেন্সি। এমন খবর শুনে হোটেলে যান ব্রাজিল ও আর্জেন্টিনার দূতাবাসের কর্মকর্তা। তাদের আশ্বাসের পর রিজেন্সি হোটেল কর্তৃপক্ষ ছেড়ে দেন খেলোয়াড়দের। এরপর কম দামের অন্য একটি হোটেলে ব্রাজিলের সাও বার্নার্দো  ও আর্জেন্টিনার অ্যাতলেটিকো চার্লনের ফুটবলাররা ওঠেন।
কিন্তু লাতিন বাংলা সুপার কাপের আয়োজক এএফবি বক্সিং প্রমোশন ইন্টারন্যাশনাল লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোহাম্মদ আসাদুজ্জামান দেশে ফেরার টিকিট না দেওয়ায় ঢাকায় আটকা পড়েছেন এই খেলোয়াড়রা। তাদের দেশে ফেরার ব্যবস্থা করে দিতে আয়োজকদের রোববার পর্যন্ত সময় দিয়েছে জাতীয় ক্রীড়া পরিষদ। কিন্তু গতকাল রাত পর্যন্ত ফুটবলারদের টিকিটের ব্যবস্থা করতে পারেনি আয়োজক প্রতিষ্ঠানটি। লাতিন আমেরিকার ফুটবলারদের ঢাকায় এনে এভাবে অপমানিত করায় আয়োজকদের বিরুদ্ধে সরকার ব্যবস্থা নিবে বলে সংবাদ মাধ্যমকে জানিয়েছেন জাতীয় ক্রীড়া পরিষদের নির্বাহী পরিচালক কাজী নজরুল ইসলাম।
ব্রাজিলের বিশ্বকাপজয়ী অধিনায়ক কাফু ও দিয়েগো ম্যারাডোনার সতীর্থ আর্জেন্টিনার ক্যানিজিয়াকে ঢাকায় আনার ঢোল পেটান এএফবি বক্সিং প্রমোশন ইন্টারন্যাশনাল লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক। কিন্তু লাতিন বাংলা সুপার কাপ শুরু হওয়ার পর জানা যায় এ দুই তারকা আসছেন না। ৫ ডিসেম্বর জাতীয় স্টেডিয়ামে শুরু হওয়া এই প্রতিযোগিতায় ছিল চরম অব্যবস্থাপনা। তাদের সঙ্গে যুক্ত ছিল বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনও। 
নিজেদের বয়সভিত্তিক ফুটবলার নিয়ে বাফুফে ‘বাংলাদেশ রেড অ্যান্ড গ্রিন ফিউচার স্টার’ নামে দল গঠন করে। ক্যাসপার, ইব্রাহিম, বিতোশোক চাকমার মতো প্রবাসীরা আসেন খেলতে। আর বাফুফের চিঠির কারণেই আয়োজকের জাতীয় স্টেডিয়াম বরাদ্দ দেয় জাতীয় ক্রীড়া পরিষদ। শর্ত ভঙ্গ করায় স্টেডিয়াম বরাদ্দ স্থগিত করে এনএসসি। 
কিন্তু পুরো ঘটনার জন্য নিজেদের কোনো ধরনের দায় বা সংশ্লিষ্টতা নেই বলে শনিবার এক বিবৃতিতে জানিয়েছে বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশন। তবে গতকাল এনএসসির নির্বাহী পরিচালকের কথাতে স্পষ্ট পুরো বিষয়ে বাফুফে জড়িত, ‘বক্সিং প্রমোশনের কাউকে আমরা চিনি না। আমরা তাদের মাঠ এভাবে দিতামও না। বাফুফে আমাদের চিঠি দিয়েছে। সেই চিঠির পরিপ্রেক্ষিতে আমরা তাদের মাঠ ব্যবহারের অনুমতি দিয়েছি। সুতরাং আয়োজকদের সঙ্গে বাফুফের কী কথা হয়েছে, আমরা জানি না। আমরা জানলে হয়তো ভালো হতো। আমাদের সঙ্গে আয়োজকদের যে শর্ত ছিল, তারা সেই শর্ত ভঙ্গ করেছে। শর্ত ভঙ্গ করার কারণেই আজকে এই অবস্থা দাঁড়িয়েছে। তবে আমরা আপনাদের জানাতে চাই, বাংলাদেশে এই ধরনের কোনো অর্গানাইজেশন, যারা দেশের সুনাম নিয়ে অবহেলা বা অবজ্ঞা করছে, আমরা আইনগতভাবে তাদের কোনো ছাড় দিব না।’
লিওনেল মেসিকে দেখতে না পারায় শনিবার কলকাতার সল্টলেক স্টেডিয়ামে তাণ্ডব চালান দর্শকরা। পুরো পরিস্থিতির জন্য মূল আয়োজক শতদ্রু দত্তকে গ্রেপ্তার করে কলকাতা পুলিশ। এই বিষয়টি নজরে এলে নজরুল ইঙ্গিত দেন প্রয়োজনে গ্রেপ্তার করা হবে লাতিন বাংলা সুপার কাপের আয়োজকদের।