স্প্যানিশ কোচ হ্যাভিয়ের ক্যাবরেরাকে নিয়ে নেতিবাচক মনোভাব আছে এক শ্রেণির দর্শকের। বিশেষ করে ভারত ম্যাচের আগে ইতালি প্রবাসী ফাহামিদুল ইসলামকে সৌদি থেকে ফেরত পাঠিয়ে দর্শক-সমর্থকদের রোশানলে পড়েছিলেন তিনি। এমন কি ক্যাবরেরার বিপক্ষে সামাজকি যোগাযোগ মাধ্যমে সিন্ডিকেটের অভিযোগও করেছেন অনেকে।
সিঙ্গাপুরের বিপক্ষে ম্যাচটি নিয়ে নানা কারণে দর্শক-সমর্থকদের প্রত্যাশা তুঙ্গে। বাফুফেরও। এ ম্যাচের জন্য বাফুফে করণীয় সবকিছুই করেছে। বড় কথা হলেও এশিয়ান ৪৫ বছর পর এশিয়ান কাপের চূড়ান্ত পর্বের টিকিট পাওয়ার সম্ভাবনা বাঁচিয়ে রাখতে এই ম্যাচটি বাংলাদেশকে জিতেই হবে।
হোম অ্যান্ড অ্যাওয়ে পদ্ধতিতে খেলা। তিন প্রতিপক্ষের বিপক্ষে তিনটি হোম ম্যাচ পাবে বাংলাদেশ, যার প্রথমটি মঙ্গলবার সিঙ্গাপুর। গ্রপিং হওয়ার পরই কোচ ক্যাবরেরা বলেছিলেন তিনি ঘরের তিন ম্যাচ থেকে পূর্ণ পয়েন্ট পেতে চান। সেই প্রতিশ্রুতি পূরণের প্রথম চ্যালেঞ্জের সামনে ক্যাবরেরা।
দেশের ক্রীড়ামোদীরা এই ম্যাচ থেকে পূর্ণ পয়েন্ট চায়। বিশেষ করে গত ২৫ মার্চ ভারতের মাটিতে ভারতের বিপক্ষে ড্র করায় সেই আত্মবিশ্বাস আরো তুঙ্গে উঠেছে। প্রত্যাশা অনুযায়ী সিঙ্গাপুরের বিপক্ষে ফলাফল না হলে চাকরি হারানো ঝুঁকি দেখছেন কিনা ক্যাবরেরা?
সোমবার সংবাদ সম্মেলনে ক্যাবরেরা সরাসরি এমন প্রশ্নের মুখে পড়েছিলেন। এই ম্যাচ নিয়ে মানুষের যে প্রত্যাশা এবং বাংলাদেশ দলের যে শক্তি তাতে ম্যাচে প্রত্যাশিত ফলাফল না হলে আপনি চাকরি হারানোর ভয়ে আছেন কিনা? এমন প্রশ্নের জবাবে কোচ ক্যাবরেরা বলেছেন, 'বাফুফের সাথে আমার চুক্তি আছে ২০২৬ সালের ৩০ এপ্রিল পর্যন্ত।'
ক্যাবরেরা ২০২২ সালের ৮ জানুয়ারি থেকে বাংলাদেশ জাতীয় দলের প্রধান কোচের দায়িত্বে আছেন। এ পর্যন্ত তার অধীনে ৩০ ম্যাচ খেলে ৮ টি জিতেছে, ৭ টি ড্র করেছে এবং ১৫ টি হেরেছে।