আগামী আগস্টের দ্বিতীয়ার্ধে তিনটি করে ওয়ানডে ও টি-টোয়েন্টি খেলতে বাংলাদেশ সফরে আসার কথা ছিল ভারতীয় ক্রিকেট দলের। কিন্তু ভারত-পাকিস্তান সামরিক উত্তেজনার মধ্যে রোহিত শর্মা ও রিবাট কোহলিদের বাংলাদেশ সফরের সম্ভাবনা তলানিতে নেমেছে। এমনকি স্থগিত হতে পারে সম্ভাব্য সূচি অনুসারে সেপ্টেম্বরে হতে যাওয়া এশিয়া কাপও।
আজ শুক্রবার চলমান আইপিএলের আসর এক সপ্তাহের জন্য স্থগিত ঘোষণার কিছুক্ষণ পর এক প্রতিবেদন প্রকাশ করে ভারতীয় গণমাধ্যম টাইমস অব ইন্ডিয়া। সেখানে বলা হয়, ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ড (বিসিসিআই) বাংলাদেশ ও এশিয়া কাপ থেকে সরে আসার চিন্তা করছে।
কেন এমন সিদ্ধান্ত নিতে যাচ্ছে বিসিসিআই? সেটি কি বাংলাদেশের সঙ্গে সম্পর্কে অবনতির কারণেই?
না, তেমন কিছু নয়। বরং নিজেদের সুবিধার্থেই এই সিদ্ধান্ত নিচ্ছে বিসিসিআই।
ভারতীয় ক্রিকেট নিয়্ন্ত্রক সংস্থাটির আশঙ্কা, পাকিস্তানের সঙ্গে তাদের দেশের সামরিক উত্তেজনা সহসাই কমবে না। মানে, এক সপ্তাহ পর পুনরায় আইপিএল শুরু করার মতো অবস্থা তৈরি নাও হতে পারে কিংবা পরিস্থিতি স্বাভাবিক হতে আরও সময়ের দরকার হতে পারে।
যদি উত্তেজনা এবং যুদ্ধ পরিস্থিতি আর জটিলতর হয়, সেক্ষেত্রে আইপিএল আরও পিছিয়ে দিতে হবে। অর্থাৎ বছরের অন্য কোনো সময় টুর্নামেন্টের বাকি ১৬ ম্যাচ আয়োজন করতে হবে বিসিসিআইকে।
সে কথা চিন্তা করেই বাংলাদেশ সফর বাতিল ও এশিয়া কাপ থেকে সরে দাঁড়ানোর সিদ্ধান্ত নিতে পারে ভারত। এই সময়ে আইপিএলের বাকি ম্যাচগুলো আয়োজন করবে কর্তৃপক্ষ।
আগামী জুনের প্রথম সপ্তাহে পাঁচ ম্যাচের টেস্ট সিরিজ খেলতে ইংল্যান্ড সফরে যাবে ভারত। এই সিরিজ শেষ হবে ৪ আগস্ট। এরপরই রোহিতদের আসার কথা বাংলাদেশে।
অর্থাৎ যদি চলতি মে মাসের মধ্যে আইপিএল শেষ করা না যায়, সেক্ষেত্রে আগস্ট-সেপ্টেম্বর উইন্ডোকে টুর্নামেন্টের বাকি অংশ আয়োজনের জন্য বেছে নিতে হবে বিসিসিআইকে। এছাড়া ভিন্ন কোনো পথও খোলা নেই। যে কারণেই আগস্টের বাংলাদেশ সফর বাতিলের কথা চিন্তা করছে ভারত।
যদি ভারত এশিয়া কাপ থেকে সরে যায়, সেক্ষেত্রে এই টুর্নামেন্টও বাতিল হয়ে যেতে পারে। কেননা আসন্ন আসরের আয়োজক খোদ ভারত।