
দখলকৃত পূর্ব জেরুজালেমের দক্ষিণে ১,৩০০ নতুন বাড়ি নির্মাণের অনুমোদন দিয়েছে ইসরাইল সরকার।  ইসরাইলি সংবাদমাধ্যম চ্যানেল ১৪ এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে। 
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, সরকারের বিশেষ পরিকল্পনা ও নির্মাণ কমিটি চলতি সপ্তাহের শুরুর দিকে গুশ এৎজিয়ন বসতি ব্লকে নতুন বাড়ি নির্মাণের পরিকল্পনাটি সর্বসম্মতভাবে অনুমোদন দিয়েছে।
ইসরাইলি সরকার এই অনুমতি এমন এক সময়ে দিল যখন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প দখলকৃত পশ্চিম তীরে ইসরাইলি বসতি নির্মাণ কার্যক্রমের সমালোচনা করেছেন। 
গত ২৪ অক্টোবর ট্রাম্প হোয়াইট হাউসে সাংবাদিকদের বলেন, ‘পশ্চিম তীর নিয়ে চিন্তা করবেন না। ইসরাইল পশ্চিম তীরে কোনো পদক্ষেপ নিতে যাচ্ছে না।’
চ্যানেল ১৪ জানিয়েছে, নতুন বসতি নির্মাণ হার হারুসিম এলাকায় অভূতপূর্ব সম্প্রসারণ ঘটাবে, যা আলন শভুত বসতির দক্ষিণ-পশ্চিমে, দখলকৃত পূর্ব জেরুজালেমের দক্ষিণে অবস্থিত।
ইসরাইলের পরিকল্পনায় স্কুল, সরকারি ভবন, পার্ক এবং একটি বড় বাণিজ্যিক এলাকা অন্তর্ভুক্ত রয়েছে, যা পার্শ্ববর্তী বসতিগুলোর বাসিন্দাদের সেবা দেবে বলে জানিয়েছে সংবাদমাধ্যমটি।
গুশ এৎজিয়ন আঞ্চলিক কাউন্সিল এই বসতি নির্মাণকে ‘এলাকায় বসবাস করতে আগ্রহী বিপুল সংখ্যক বাসিন্দার চাহিদার উপযুক্ত প্রতিক্রিয়া’ বলে উল্লেখ করেছে।
এর আগে মঙ্গলবার ইসরাইলি দৈনিক ইয়েদিয়োথ আহরোনোথ জানিয়েছে, অর্থমন্ত্রী বেজালেল স্মোট্রিচ আগামী বছরের নেসেট নির্বাচনের আগে পশ্চিম তীরে বসতি সম্প্রসারণ ও ভূমি দখলের গতি বাড়িয়ে দিয়েছেন। তার লক্ষ্য হলো এমন এক বাস্তব পরিস্থিতি তৈরি করা, যা ভবিষ্যতে ফিলিস্তিনি রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার সম্ভাবনাকে ব্যাহত করবে।
একই প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ২০২২ সালের শেষ দিকে বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু সরকার দায়িত্ব নেওয়ার পর থেকে পশ্চিম তীরে প্রায় ৪৮ হাজার বসতি ইউনিট নির্মাণের পরিকল্পনা এগিয়েছে। গড়ে প্রতি বছর প্রায় ১৭ হাজার ইউনিট করে।
গত ২০ আগস্ট ইসরাইলি সরকার ‘ই-১’  বসতি পরিকল্পনার চূড়ান্ত অনুমোদন দেয়।  এতে মা’আলে আদুমিম বসতির কাছে প্রায় ৩ হাজার ৪০০টি আবাসিক ইউনিট নির্মাণের প্রস্তাব রয়েছে।
জাতিসংঘ একাধিকবার বলেছে, দখলকৃত ফিলিস্তিনি ভূখণ্ডে ইসরাইলি বসতি আন্তর্জাতিক আইনের দৃষ্টিতে অবৈধ এবং এটি দ্বি-রাষ্ট্র সমাধানের সম্ভাবনাকে মারাত্মকভাবে ক্ষুণ্ন করছে।
তথ্যসূত্র: আনাদোলু