নেপালের রাজধানী কাঠমান্ডুর কোটেশ্বরে ভয়াবহ সহিংসতায় তিন পুলিশ কর্মকর্তা নিহত হয়েছেন। প্রত্যক্ষদর্শীদের বরাতে জানা গেছে, আত্মসমর্পণের পরও বিক্ষুব্ধরা তাদের টেনে এনে রাস্তায় পিটিয়ে হত্যা করে। নিহতদের হাতে কোনো অস্ত্র ছিল না।
নেপাল পুলিশের সদর দপ্তর ঘটনাটির সত্যতা নিশ্চিত করে একে ‘বর্বরোচিত হামলা’ বলে উল্লেখ করেছে। এ হত্যাকাণ্ডে রাজধানীর নিরাপত্তা পরিস্থিতি আরও নাজুক হয়ে পড়েছে। ইতিমধ্যে সরকারি প্রতিষ্ঠান, রাজনৈতিক নেতাদের বাসভবন ও রাষ্ট্রীয় কার্যালয়ে ধারাবাহিক হামলা ও অগ্নিসংযোগ চলছে।
এ অবস্থায় মঙ্গলবার রাতে সেনাবাহিনী এক বিবৃতিতে জানায়, সহিংসতা, লুটপাট ও অগ্নিসংযোগ না থামলে রাত ১০টার পর থেকে সেনা ও সব নিরাপত্তা সংস্থা সরাসরি ব্যবস্থা নেবে। একইসঙ্গে লুট হওয়া অস্ত্র–শস্ত্র ফেরত দেওয়ার আলটিমেটামও দেওয়া হয়েছে।
এর আগে সেনাপ্রধান অশোক রাজ সিগদেল জাতির উদ্দেশে ভাষণে তরুণ বিক্ষোভকারীদের সহিংস পথ ছাড়ার আহ্বান জানান। তবে সহিংসতা বাড়তে থাকায় নেপালের রাজনৈতিক সংকট আরও জটিল আকার নিতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।