যুক্তরাষ্ট্র-জার্মানি থেকে সরঞ্জাম নিয়ে ১৪ কার্গো বিমান ইসরায়েলে

ইরানের ড্রোন ইউনিটের দ্বিতীয় শীর্ষ কমান্ডারকে হত্যার দাবি
আন্তর্জাতিক ডেস্ক
  ২১ জুন ২০২৫, ১১:৪৯

আনাদোলুর প্রতিবেদন অনুসারে, বৃহস্পতিবার ইরানের সঙ্গে ইসরায়েলের সংঘাতের মধ্যে ইসরায়েলের সেনাবাহিনীকে সহায়তা করার জন্য সরঞ্জাম ও সরবরাহ নিয়ে যুক্তরাষ্ট্র ও জার্মানি থেকে ১৫টি সামরিক কার্গো বিমান ইসরায়েলে পৌঁছেছে। 
প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, গত শুক্রবার অপারেশন রাইজিং লায়ন শুরু হওয়ার পর থেকে ১৪টি বিমান ইসরায়েলে অবতরণ করেছে। ৭ অক্টোবরের গণহত্যার পর ইসরায়েল-হামাস যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর থেকে ৮০০ টিরও বেশি বিমান অবতরণ করেছে।
তারা আরো জানিয়েছে, সেনাবাহিনীর অপারেশনাল প্রস্তুতি সমর্থন করার জন্য এই চালান পাঠানো হয়েছে।
অস্ত্রের এই সরবরাহ ইসরায়েলের সামরিক বাহিনীর আভিযানিক ধারাবাহিকতা জোরদার এবং এর সব ধরনের চাহিদা মেটানোর প্রচেষ্টারই অংশ। গত ১৩ জুন ভোররাতে ইরানে নজিরবিহীন হামলা শুরু করে ইসরায়েল। ইরানের সামরিক ও পারমাণবিক স্থাপনাসহ বেশ কয়েকটি স্থানে বিমান হামলা শুরু করে, যার ফলে তেহরান প্রতিশোধমূলক হামলা চালায়।
ইসরায়েলি কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, ইরানের ক্ষেপণাস্ত্র হামলায় তখন থেকে কমপক্ষে ২৫ জন নিহত এবং শত শত আহত হয়েছে।
এদিকে, ইরানি মিডিয়ার প্রতিবেদন অনুসারে, ইরানে ইসরায়েলি হামলায় ৬৩৯ জন নিহত এবং ১ হাজার ৩০০ জনেরও বেশি আহত হয়েছে।
সূত্র : মিডিল ইস্ট মনিটর।

ইরানের ড্রোন ইউনিটের দ্বিতীয় শীর্ষ কমান্ডারকে হত্যার দাবি
ইরানের ইসলামিক রেভল্যুশনারি গার্ড কোরের (আইআরজিসি) ড্রোন ইউনিটের দ্বিতীয় শীর্ষ কমান্ডারকে হত্যা করার দাবি করেছে ইসরায়েল। খবর আল-জাজিরার
এক বিবৃতিতে ইসরায়েলি সেনাবাহিনী জানিয়েছে, দেশটির যুদ্ধবিমান দক্ষিণ-পশ্চিম ইরান থেকে ইসরায়েলের দিকে শত শত ইউএভি (চালকবিহীন উড্ডয়ন যান) ড্রোন হামলার পরিকল্পনা ও তদারকির দায়ে অভিযুক্ত কমান্ডার আমিন পোর জোদখিকে লক্ষ্য করে বিমান হামলা চালায়।
ইসরায়েলের পক্ষ থেকে বলা হয়, এর আগে ১৩ জুন আইআরজিসির ড্রোন বাহিনীর আরেক শীর্ষ কর্মকর্তা তাহার ফুরকে হত্যা করা হয়। তার মৃত্যুর পর জোদখি ওই ইউনিটের নেতৃত্বে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছিলেন।
ইসরায়েলি সেনাবাহিনী এই তথ্যটি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে প্রকাশ করলেও এ বিষয়ে ইরানের পক্ষ থেকে এখনো আনুষ্ঠানিকভাবে কোনো প্রতিক্রিয়া জানানো হয়নি।