ভারতের সঙ্গে সাম্প্রতিক যুদ্ধবিরতির প্রতিশ্রুতি মেনে চলছে এবং আঞ্চলিক স্থিতিশীলতার স্বার্থে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিচ্ছে বলে জানিয়েছে পাকিস্তান। তবে ভবিষ্যতে ভারত ‘আক্রমণ’ চালালে তার জবাব দেওয়া হবে বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছে দেশটি।
পাকিস্তানের এই বক্তব্যের মাত্র একদিন আগেই ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী জাতির উদ্দেশে ভাষণে বলেন, নতুন করে সন্ত্রাসী হামলা হলে ভারত আবারও পাকিস্তান সীমান্তের ‘সন্ত্রাসী ঘাঁটি’ লক্ষ্য করে আঘাত হানবে এবং ‘পারমাণবিক ব্ল্যাকমেইল’-এ ভয় পাবে না।
গত সপ্তাহে চার দিনব্যাপী সংঘর্ষে দু’দেশ একে অপরের সামরিক স্থাপনায় ক্ষেপণাস্ত্র ও ড্রোন হামলা চালায়। ভারত দাবি করে, কাশ্মীরে পর্যটকদের ওপর হামলায় ২৬ জন নিহত হওয়ার প্রতিশোধ হিসেবে তারা পাকিস্তান ও পাকিস্তানশাসিত কাশ্মীরে তথাকথিত সন্ত্রাসী অবকাঠামো লক্ষ্য করে আঘাত হানে।
তবে ইসলামাবাদ দাবি করেছে, হামলার লক্ষ্যবস্তু ছিল বেসামরিক এলাকা এবং তারা কাশ্মীর হামলার দায় অস্বীকার করে।
পাকিস্তানের সামরিক বাহিনী জানিয়েছে, এসব হামলায় অন্তত ৪০ জন বেসামরিক নাগরিক ও ১১ জন সৈন্য নিহত হয়েছেন। অন্যদিকে ভারত জানিয়েছে, তাদের অন্তত পাঁচ সেনা সদস্য ও ১৬ জন বেসামরিক লোক নিহত হয়েছেন।
এটি ছিল দুই দেশের মধ্যে প্রায় তিন দশকের সবচেয়ে ভয়াবহ সংঘর্ষ। শনিবার মার্কিন কূটনৈতিক হস্তক্ষেপের পর যুদ্ধবিরতির বিষয়ে একমত হয় দু’পক্ষ।
মঙ্গলবার এক বিবৃতিতে পাকিস্তানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় মোদীর বক্তব্যকে ‘উসকানিমূলক ও উত্তেজনাকর’ বলে অভিহিত করেছে।
তারা জানায়, আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় যখন দক্ষিণ এশিয়ায় শান্তি ও স্থিতিশীলতা নিশ্চিত করতে উদ্যোগ নিচ্ছে, তখন ভারতের এই বক্তব্য পরিস্থিতি জটিল করে তোলে।
তবে ইসলামাবাদ জানায়, পাকিস্তান যুদ্ধবিরতির সাম্প্রতিক বোঝাপড়ার প্রতি প্রতিশ্রুতিবদ্ধ এবং আঞ্চলিক স্থিতিশীলতার জন্য প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিতে প্রস্তুত। তবে ভবিষ্যতে যে কোনো আগ্রাসন কঠোরভাবে প্রতিহত করা হবে।
সূত্র: রয়টার্স