ইসলামাবাদের প্রত্যাখ্যান

তিনটি সামরিক স্থাপনায় হামলা চালিয়েছে পাকিস্তান, বলছে ভারত

আন্তর্জাতিক ডেস্ক
  ০৯ মে ২০২৫, ১০:৩৫

পাকিস্তান তিনটি সামরিক স্থাপনায় হামলা চালিয়েছে বলে দাবি করেছে ভারত। দেশটির দাবি, ভারত-শাসিত কাশ্মির ও পাঞ্জাবের ওই তিনটি স্থাপনায় হামলা করেছে পাকিস্তানের সেনাবাহিনী।
তবে ভারতের এই দাবি প্রত্যাখ্যান করেছে পাকিস্তান। দেশটি বলছে, ভারত-শাসিত কাশ্মিরে কোনও হামলার দায় পাকিস্তানের নয়। শুক্রবার (৯ মে) এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে ব্রিটিশ সংবাদমাধম বিবিসি।
সংবাদমাধ্যমটি বলছে, পাকিস্তান ভারত-শাসিত কাশ্মিরের উধমপুর এবং পাঞ্জাবের পাঠানকোটের তিনটি সামরিক স্থাপনায় ক্ষেপণাস্ত্র আর ড্রোন দিয়ে হামলা চালিয়েছে বলে ভারতের সেনাবাহিনী দাবি করেছে।
তবে পাকিস্তানের প্রতিরক্ষামন্ত্রী খাজা মুহাম্মদ আসিফ ভারতের এই দাবি নাকচ করে দিয়েছেন। তিনি বলেছেন, ভারত-শাসিত কাশ্মিরে কোনও হামলার দায় তার দেশের নয়।
এছাড়া ভারতীয় সেনাবাহিনী তাদের এক্স হ্যান্ডেলে দাবি করেছে, ওইসব “হামলা”র ফলে তাদের কোনোরকম ক্ষয়ক্ষতি হয়নি এবং হামলাগুলো “নিষ্ক্রিয়” করা হয়েছে।
ভারতের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় দাবি করছে, “জম্মু, পাঠানকোট আর উধমপুরে সামরিক ঘাঁটির ওপরে পাকিস্তানের দিক থেকে ড্রোন আর ক্ষেপণাস্ত্র দিয়ে আক্রমণ করা হয়েছিল। এইসব হামলা রুখে দেওয়া হয়েছে। কোনও ক্ষয়ক্ষতি হয়নি।”
বিবিসি বলছে, বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় ভারত-শাসিত কাশ্মিরের জম্মু শহরে বিস্ফোরণের খবর পাওয়া গেছে। এরপর ওই অঞ্চলটি ব্ল্যাকআউট তথা বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন করে দেওয়া হয়। এছাড়া জম্মুরই আরেক শহর রাজৌরিতে প্রশাসন ব্ল্যাকআউট করে দিতে সাধারণ মানুষকে অনুরোধ করেছে।
এর আগে জম্মু অঞ্চলের বেশ কয়েকটি এলাকা থেকে বিস্ফোরণের আওয়াজ পাওয়া গেছে বলে বিবিসির সংবাদদাতা জানিয়েছেন। প্রত্যক্ষদর্শীরা বিবিসিকে জানিয়েছেন, পুরো জম্মু শহরই অন্ধকার করে দেওয়া হয়েছে।
জম্মুর বিমানবন্দর থেকেও বিস্ফোরণের খবর আগেই পাওয়া গিয়েছিল। জম্মু শহরের এক বাসিন্দা বিবিসিকে জানিয়েছিলেন, বিমানবন্দরের কাছে তিনি নিজে “১৬টি বস্তুকে” পড়তে দেখেছেন।
ভারতের ১৫ শহরে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা পাকিস্তানের
এই ঘটনার পর পুরো জম্মু শহর অন্ধকার করে দেওয়া হয় এবং দোকান ও বাজার বন্ধ করে দেওয়া হয়। এছাড়া হামলার সঙ্কেত দিতে সাইরেন বাজা শুরু হতেই মানুষ দৌড়াদৌড়ি শুরু করে। পরে সেখান থেকে প্রায় দেড় ঘণ্টা দূরের কাঠুয়া থেকেও বিস্ফোরণের আওয়াজ পাওয়া গেছে বলে স্থানীয় বাসিন্দারা জানান। সেখানেও ব্ল্যাকআউট করে দেওয়া হয় পুরো শহর।
ভারতীয় সংবাদসংস্থা এএনআই জানিয়েছে, জম্মুতে যে ধরনের ড্রোন দিয়ে “হামলা চালাচ্ছে পাকিস্তান”, সেগুলো ‘লয়েটারিং মিউনিশন’, অর্থাৎ এই ড্রোনগুলোতে বিস্ফোরক থাকে এবং লক্ষ্যবস্ততে আঘাত করার পরে সেগুলোতে বিস্ফোরণ ঘটে যায়।
এছাড়া চন্ডীগড় শহরের প্রশাসনও জানায়, বিমান হামলার সঙ্কেত দিতে সাইরেন বাজানো হচ্ছে এবং দ্রুত ব্ল্যাকআউট করে দেওয়া হচ্ছে।