নিউইয়র্ক সিটির কাউন্সিল নির্বাচনে ফের প্রার্থী হয়েছেন কাউন্সিল সদস্য শাহানা হানিফ। পার্ক স্লোপ, উইন্ডসোর টেরেস, বোয়েরাম হিল ও ক্যারল গার্ডেনসসহ বিস্তীর্ণ এলাকাজুড়ে গঠিত ৩৯ নম্বর জেলায় দ্বিতীয় মেয়াদের জন্য লড়ছেন এই বাংলাদেশি-মার্কিন রাজনীতিক।
২০২১ সালে নির্বাচিত হয়ে ইতিহাস গড়া শাহানা হানিফ নিউইয়র্ক সিটি কাউন্সিলে নির্বাচিত প্রথম মুসলিম নারী। তিনি অভিবাসী ও প্রগতিশীল মূল্যবোধ নিয়ে যাত্রা শুরু করে প্রথম মেয়াদেই নজর কেড়েছেন মানবাধিকার ও সামাজিক ন্যায়বিচারের পক্ষে সোচ্চার অবস্থানের মাধ্যমে।
তবে এ বছরের নির্বাচনে তিনি মুখোমুখি হয়েছেন শক্ত প্রতিদ্বন্দ্বিতার। তার প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বী হচ্ছেন মায়া কর্নবার্গ। যিনি ব্রেনান সেন্টার ফর জাস্টিসের একজন গবেষক এবং ইহুদি বংশোদ্ভূত। গাজায় ইসরায়েলি হামলা নিয়ে হানিফের কণ্ঠস্বর এবং তার সমর্থনে অনুষ্ঠিত বিভিন্ন বিক্ষোভে অংশগ্রহণ তাকে রাজনৈতিকভাবে বিতর্কের কেন্দ্রে নিয়ে এসেছে।
মায়া কর্নবার্গ এরই মধ্যে ‘সোলডারিটি পিএসি’র মতো প্রভাবশালী ইসরায়েলপন্থী রাজনৈতিক অ্যাকশন কমিটির সমর্থন পেয়েছেন। নিউইয়র্ক ফোকাসের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গত বছর থেকেই কর্নবার্গের প্রচারে অন্তত ১৩ হাজার ডলার অর্থ সহায়তা এসেছে এই কমিটির মাধ্যমে।
অন্যদিকে, শাহানা হানিফের পক্ষে মাঠে নেমেছেন বেশ কিছু প্রগতিশীল সংগঠন ও সম্প্রদায়ভিত্তিক গোষ্ঠী। বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য হচ্ছে ‘জিউসফরশাহানা’ নামের একটি ইহুদি নাগরিক আন্দোলন। যারা হানিফের অভিবাসী ও মানবাধিকারপন্থী অবস্থানকে সমর্থন জানাচ্ছেন।
দুই প্রার্থীর মধ্যকার এই প্রতিযোগিতা শুধু রাজনৈতিক অবস্থান নিয়ে নয়, সম্প্রদায়ভিত্তিক বিভাজন এবং অর্থায়ন নিয়ে ব্যাপক আলোচনার জন্ম দিয়েছে। বিশ্লেষকরা বলছেন, এ নির্বাচনের ফল শুধু ৩৯ নম্বর জেলা নয় বরং বৃহত্তর নিউইয়র্কের রাজনৈতিক অবস্থানকেও নির্দেশ করবে।
প্রসঙ্গত, সিটির কাউন্সিল নির্বাচনে আগাম ভোট শুরু হবে ১৪ জুন এবং মূল ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে ২৪ জুন। এই নির্বাচনে র্যাঙ্কড চয়েস ভোটিং প্রথা কার্যকর থাকবে। যার ফলে ভোটাররা একাধিক পছন্দক্রমে প্রার্থী নির্বাচন করতে পারবেন।