প্রতিবছরের ন্যায় এবছরও নিউইয়র্কের রাজধানী আলবেনীর ক্যাপিটাল হিলে ষ্টেট অ্যাসেম্বলী ও সিনেটের উদ্যোগে বাংলাদেশ ডে ‘স্বাধীনতা দিবস’ উদযাপন করেছেন প্রবাসী বাংলাদেশীরা। এছাড়াও প্রথমবারের মতো একই দিন ক্যাপিটাল হিলে ‘বাংলা নববর্ষ’ উদযাপন করা হয়।
ব্রঙ্কস বাংলাদেশ কমিউনিটির আয়োজনে সোমবার সকালে দেড় শতাধিক প্রবাসী বাংলাদেশী ‘বাংলাদেশ ডে’ উপলক্ষ্যে নিউইয়র্কের রাজধানী আলবেনীর ক্যাপিটাল হিলে পৌছান। এসময় ব্রঙ্কস থেকে নির্বাচিত ষ্টেট অ্যাসেম্বলীম্যান ও সিনেটররা বাংলাদেশীদেরকে অভ্যর্থনা জানান। দুপুরে ক্যাপিটাল হিলের সিনেট ভবনের তৃতীয় তলায় বাংলাদেশ ডে উপলক্ষে বাংলাদেশী কমিউনিটির সাথে মতবিনিময় সভা করেন জনপ্রতিনিধিরা। বাংলাদেশ ডে আয়োজক কমিটির চেয়ারম্যান আব্দুস শহীদের সভাপতিত্বে ও সদস্য সচিব শামীম মিয়ার সঞ্চালনায় এসময় বক্তব্য রাখেন স্টেট সিনেটর লুইস সেপুলভেদা, স্টেট সিনেটর নাথালীয়া ফার্নান্ডজ, অ্যাসেম্বলিওম্যান কার্নেজ রায়াজ, বাংলাদেশ সোসাইটির সভাপতি আতাউর রহমান সেলিম, কমিউনিটি অ্যাক্টিভিষ্ট জুনেদ চৌধুরী, আব্দুর রহিম বাদশা, মাহবুব আলম, আব্দুল হাসিব হাসনু, সামাদ মিয়া জাকেরিন, এন ইসলাম মামুন, জালালাবদ এসোসিয়েশন অব আমেরিকার ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক রোকন হাকিম, মামুন টিউটোরিয়ালসের প্রিন্সিপাল শেখ আল মামুন ও স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্রের শিল্পী রথীন্দ্র নাথ রায়। এ সময় কমিউনিটির বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গের মধ্যে সিরাজ উদ্দিন আহমদ সোহাগ, এডভোকেট নাসিরউদ্দিন, সাংবাদিক হাবিব রহমান, জাকির চৌধুরী সিপিএ, শাখাওয়াত আলী, ফরিদা ইয়াছমিন, সাঈদুর রহমান লিংকনসহ দেড় শতাধিক প্রবাসী বাংলাদেশী উপস্থিত ছিলেন। সভা শেষে মধ্যাহ্নভোজের আয়োজন করা হয় সিনেট ভবনে। পরে সিনেট অধিবেশন শুরু হলে সিনেটের মেজরিটি লিডার এন্ড্রিয়া স্টুয়ার্ট কুজিন্স ক্যাপিটল হিলে বাংলাদেশীদের স্বাগত জানান। অধিবেশনে স্টেট সিনেটর লুইস সেপুলভেদা, স্টেট সিনেটর জামাল টি বেইলী, স্টেট সিনেটর নাথালিয়া ফার্নান্দেজ ‘২৬ মার্চ বাংলাদেশের স্বাধীনতা দিবসের ইতিহাস ও লাখো শহীদের আত্মত্যারে বিষয় এবং বাংলা নববর্ষ পহেলা বৈশাখে ঐতিহ্য ও সংস্কৃতি তুলে ধরে প্রস্তাবনা উত্থাপন করেন। তাদের বক্তব্যের আলোকে উপস্থিত স্টেটের সকল সিনেটর প্রস্তাবনার পক্ষে সমর্থন জানান।
এদিকে এনআরবি ওয়ার্ল্ড ওয়াইড-এর সভাপতি বিশ্বজিৎ সাহার উদ্যোগে ষ্টেট অ্যাসেম্বী ও সিনেটের সহযোগিতায় প্রথমবারের মতো ক্যাপিটাল হিলে বাংলা নববর্ষ পালনের মধ্য দিয়ে পহেলা বৈশাখ স্বীকৃতি প্রদান অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।